প্রতীকী চিত্র।
রাজনীতির কোপে কি আটকে রয়েছে পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কের কাজ? মহাসড়ক নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক মনোভাবের কথা প্রকাশ্যে আসার পরে এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জমি জট মেটাতে অবশেষে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ বাড়াতে রাজি হয়েছেন। অথচ ক্ষতিপূরণ নিয়ে শুনানির পরে জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনারের ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। প্রশ্ন, তা হলে এতদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কেন ক্ষতিপূরণ বাড়ানো যাবে না বলে অনড় রইলেন?
সূত্রের খবর, মহাসড়ক তৈরির জন্য যাঁদের জমি নেওয়া হয়েছে তাঁদের বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা হতে পারে দিল্লি থেকে। যদিও এ প্রস্তাব আগেই জেলা প্রশাসন তথা রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া রয়েছে। কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় শাসকদলের রাজ্যের কোনও জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জমির ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির ঘোষণা হতে পারে। সে কারণেই এতদিন ধরে রাজ্য প্রশাসন ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির প্রস্তাব বারবার দিলেও জাতীয় সডক কর্তৃপক্ষ রাজি হননি।
শিলিগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি— দু’জায়গায় মহাসড়কের কাজ আটকে। ফুলবাড়িতে এবং ময়নাগুড়ি রোডে। ময়নাগুড়ি রোডে রেল লাইন রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে দ্রুত উড়ালপুল তৈরি করতে। তাহলে এই লাইনে ট্রেন চলাচলের গতি বাড়বে। সেই চাপের কথা স্বীকার করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও।
গুজরাতের পোরবন্দর থেকে অসমের শিলচর পর্যন্ত যোগাযোগের এই মহাসড়কের কাজ অন্য রাজ্যে শেষ হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে আটকে। দিল্লির নির্দেশেই কি এতদিন এ রাজ্যে ক্ষতিপূরণের বৃদ্ধির প্রস্তাব মানা হয়নি? জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উত্তরবঙ্গের প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জীব শর্মা বলেন, “একেবারেই না। একেবারে স্থায়ীয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিল্লি থেকে বিবেচনা করছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথায়, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের কাজ শেষ করতে বাধ্য। মানুষের চাহিদামতো ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। এ নিয়ে কেউ রাজনীতি করতে এলে তা রুখে দেব।”