লাল-হলুদের সঙ্গে লড়াইয়ে শিলিগুড়ির সবুজ-মেরুন

জল্পনা রাজনীতি নিয়েও

তাঁর পাড়ার বাঘা যতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের প্রদশর্নী ম্যাচ হতে চলেছে। তিনি ক্লাবের আজীবন সদস্য-ও। ক্লাবের ‘রোডরেস’ থেকে বিভিন্ন বিষয়েই তাঁকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

কমতি নেই লাল-হলুদ জার্সির বিক্রিতেও। — নিজস্ব চিত্র

তাঁর পাড়ার বাঘা যতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের প্রদশর্নী ম্যাচ হতে চলেছে। তিনি ক্লাবের আজীবন সদস্য-ও। ক্লাবের ‘রোডরেস’ থেকে বিভিন্ন বিষয়েই তাঁকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায়। অথচ ২২ ডিসেম্বর বাঘা যতীনের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের এই প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজনে কোনও ব্যাপারেই পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

ক্লাবের তরফেও তাঁকে সে ভাবে ডাক-খোঁজ করা হয়নি বলে তৃণমূলের একাংশের ক্ষোভও রয়েছে। অভিযোগ, ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্লাবগুলিকে পাশে রেখে গৌতমবাবুর খাস তালুক শিলিগুড়ির রাজনীতিতে খুঁটি শক্ত করতে চাইছেন ভাইচুং ভুটিয়া। যিনি এই ম্যাচের উদ্যোক্তাদের অন্যতম।

সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। যা নিয়ে জেলা তৃণমূলের একাংশ তাঁর পাশে না থেকে অসহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগও ওঠে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে রাজনীতির ময়দানে জায়গা শক্ত করতেই এ ভাবে ভাইচুং উদ্যোগী কি না তা নিয়েই গুঞ্জন উঠেছে। গৌতমবাবু অবশ্য দাঁড়িয়েছিলেন ফুলবাড়ি ডাবগ্রাম আসন থেকে। তবে ভবিষ্যতে শিলিগুড়ির মতো আসন থেকেই তিনি দাঁড়ন এমনটাই চান দলের একাংশ। গৌতমবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘ওই ম্যাচ নিয়ে আমার সঙ্গে ভাইচুংয়ের কথা হয়েছে। আমাকে মুখ্য অতিথি করার জন্য ও বলেছিল। তবে আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকছি বলেই থাকতে পারব না।’’

Advertisement

খেলার আয়োজনে নেই শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদও। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ গৌতমবাবুর ঘনিষ্ঠ শিবিরের লোক। সে কারণেই ক্রীড়া পরিষদকে ব্রাত্য রেখে এ ধরনের ম্যাচের আয়োজন কি না তা নিয়েও আলোচনা চলছে। অরূপবাবু জানিয়েছেন, ‘‘এই ম্যাচে ক্রীড়া পরিষদের কোনও ব্যাপার নেই। পুরোটাই ভাইচুং এবং বাঘাযতীন ক্লাবের তরফেই করা হচ্ছে।’’

এ ধরনের অভিযোগ অবশ্য মানতে রাজি নন ভাইচুং। তিনি বলেন, ‘‘খেলার স্বার্থেই এটা করছি। অন্য কোনও বিষয় নেই।’’ তাঁর পাল্টা দাবি, রাজনীতি হবে ভেবেই তিনি নর্থবেঙ্গল বোর্ড ফর ডেভেলপমেন্ট অব স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস বোর্ডের তরফে ক্লাবগুলিকে টাকা পয়সা দেওয়ার ব্যাপারও রাখেননি। কেবল ভাল খেলার আয়োজন, খেলোয়াড়দের ভাল সুযোগ সুবিধা করে দেওয়াটাই তাদের লক্ষ্য। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বলে তিনি ম্যাচ খেলার ব্যাপারে রাজি করিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘পরবর্তীতে অন্য ক্লাব উৎসাহী হলে তাদেরকেও একই রকম ভাবে সাহায্য করব।’’ ক্রীড়া পরিষদ ম্যাচের আয়োজন করতে চাইলেও তিনি ভবিষ্যতে সাহায্য করবেন বলে জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement