তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের পরিবারের সঙ্গে। —নিজস্ব চিত্র।
এক টোটোচালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কাশ্মীরে পাচারের আগে ৩ কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। শিলিগুড়ির ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির বিধানমার্কেট থেকে ২ জন মহিলা ৩ কিশোরীকে নিয়ে একটি টোটো ভাড়া করে রেল জংশনের দিকে যাচ্ছিলেন। বিধানমার্কেট থেকে রওনা দেওয়ার পর থেকেই ২ মহিলার কথাবার্তায় সন্দেহ হয় টোটোচালক খুরশেদের। ঠিক মহানন্দা সেতু সংলগ্ন এয়ারভিউ মোড় টোটো পৌঁছতেই ৩ কিশোরী কান্না জুড়ে দেয়। এর পর আর দেরি করেননি ওই টোটোচালক। তিনি সোজা এয়ারভিউ মোড়ের ট্র্যাফিক পয়েন্টে যাত্রী সমেত টোটো নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ এগিয়ে আসতেই পুরো ঘটনা তাদের খুলে বলেন খুরশেদ। পুলিশ জিজ্ঞাসবাদ শুরু করলে ৩ কিশোরীকে নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি ওই ২ মহিলা। এর পর ট্র্যাফিক গার্ড অফিস থেকে খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। এর পর ৩ কিশোরী, ২ মহিলা এবং টোটোচালককে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
পুলিশ জানতে পারে ৩ কিশোরীর বয়সই ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা সকলেই চোপড়ার বাসিন্দা। পুলিশি জিজ্ঞাসবাদে কিশোরীরা তাদের বাড়ি ও বাবা মায়ের কথা জানায়। যোগাযোগ করা হয় তাদের পরিবারের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই চোপড়া থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, ২ মহিলা আদতে লাদাখের বাসিন্দা বলে জানতে পারে পুলিশ। তাঁদের নাম সিওয়ান চন্দু এবং ইয়াসমিন মল্লিক। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এডিসিপি সুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘এখনই এই বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। বাচ্চাগুলোকে আপাতত চাইল্ড হেল্প লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃত মহিলাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ৩ কিশোরী তাঁদের দিদির সন্তান। কিন্তু এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এর বাইরে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’