সাবালিকা হওয়ার পর বিয়েতে সাহায্য প্রশাসনের

আঠেরো হয়নি তখনও। তিন মাস কম ছিল বলে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল ব্লক প্রশাসন। নভেম্বরে ১৮-এ পা দিয়েছে মেয়ে। শুক্রবার বিয়ের পিড়িতে বসলেন সাবালিকা পাত্রী। এক ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করে পাত্রীর পরিবারের হাতে কিছু টাকাও তুলে দিয়েছে নকশালবাড়ি ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২১
Share:

আঠেরো হয়নি তখনও। তিন মাস কম ছিল বলে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল ব্লক প্রশাসন। নভেম্বরে ১৮-এ পা দিয়েছে মেয়ে। শুক্রবার বিয়ের পিড়িতে বসলেন সাবালিকা পাত্রী। এক ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করে পাত্রীর পরিবারের হাতে কিছু টাকাও তুলে দিয়েছে নকশালবাড়ি ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

গত অগস্ট মাসে নকশালবাড়ির কোটিয়াজোতে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের পিড়িতে বসানো হচ্ছে বলে বিডিও অফিসে অভিযোগ যায়। নকশালবাড়ির বিডিও কিংশুক মাইতি পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে বিয়ে রুখে দেন। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, আর্থিক অসঙ্গতির কারণেই মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, নভেম্বর মাসেই পাত্রীর বয়স আঠারো হবে। জন্মের শংসাপত্র দেখে বয়স যাচাই করে, ব্লক প্রশাসনের কর্তারা বিয়ে পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। সেই মতো এ দিন বিয়ে হয়। বিডিও কিংশুকবাবু বলেন, ‘‘পরিবারের আর্থিক অবস্থা যাই থাকুক না কেন, নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইন বিরুদ্ধ। সে কারণেই আঠারো না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কিছু অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।’’

পাত্রীর বাবা-মা দু’জনেই কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। বিডিও অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই পরিবারকে সাহায্যের জন্য এলাকার এক ব্যবসায়ীকে আর্জি জানানো হয়। এ দিন পরিবারের হাতে নগদ ১৬ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement