এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একটি বাড়ি থেকে তিন জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। সোমবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের রানিপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন রাজীব অরোরা, তাঁর স্ত্রী সুনীতা এবং রাজীবের শাশুড়ি। স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে রাজীবের বিরুদ্ধে। রাজীবের ঘর থেকে একটি বেসবলের ব্যাট, পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রী সুনীতাকে বেসবলের ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন। তার পর শাশুড়িকে গুলি করে হত্যা করেন। শেষে আত্মঘাতী হয়েছে রাজীবও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবারই দিল্লি থেকে হরিদ্বারে ফেরেন রাজীব। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় রাজীব, তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়ির দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িরই ভাড়াটেদের দাবি, বিকেলবেলায় গুলি চলার শব্দ পান তাঁরা। সেই শব্দ পেয়েই বাইরে বার হন। কিন্তু রাজীবদের ঘরে যে গুলি চলেছে সেটা আঁচ করতে পারেননি। সন্ধ্যা নামার পরেও রাজীবদের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ভাড়াটেরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তাঁরা। তার পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
হরিদ্বারের পুলিশ সুপার পরমেন্দ্র দোভাল জানিয়েছেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শেষ দরজা ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায়, তিন জনের দেহ পড়ে রয়েছে ঘরে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। তবে খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। কেন রাজীব খুন করলেন, কেনই বা আত্মঘাতী হলেন, তা জানার জন্য তাঁদের আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।