—প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে ‘দুষ্কৃতী হামলা’র ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দু’জনকে আটক করছে পুলিশ। ভক্তিনগর থানায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনই ওই দু’জনের নাম প্রকাশ করতে নারাজ পুলিশ।
শনিবার রাতে শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে ‘দুষ্কৃতী হামলা’র অভিযোগ ওঠে। মিশনের সন্ন্যাসীদের নিগ্রহেরও অভিযোগ ওঠে এই হামলায়। সেই প্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানানো হয়, শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোর করে সেখানে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হন। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ওই মিশনের মহারাজ স্বামী শিবপ্রেমানন্দ জানান, সেবক রোডের চার মাইলে প্রায় দুই একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের জনৈক সুনীলকুমার রায়। পরে সেই জমির মালিকানা নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। আদালতের রায়ে সেই সম্পত্তি এখন মিশনের হাতেই রয়েছে। সেখানে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী ওই বাড়িতেই থাকতেন। অভিযোগ, সেখানেই হামলা চালিয়েছে জমি মাফিয়ারা।
মঙ্গলবার এই ‘দুষ্কৃতী হামলা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এর পরই রাতে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।