Suicide

Buniadpur: চোর ভেবে মার পুলিশের, চেষ্টা আত্মহত্যার

সাজ্জাদ হোসেন সরাইহাট এলাকায় একটি গ্যারাজে টায়ারের মিস্ত্রি। কয়েকদিন আগে ওই গ্যারাজের সামনে একটি দুর্ঘটনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২২ ০৬:৫৮
Share:

রাস্তায় আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। নিজস্ব চিত্র।

থানায় মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। এবার সেই বংশীহারি থানার বিরুদ্ধে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল। তার প্রতিবাদে প্রহৃত ওই যুবক ভরদুপুরে বুনিয়াদপুর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বিষ খেয়ে ও গলায় ছুরি চালানোর চেষ্টা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যা নিয়ে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বংশীহারি থানার আইসি।

Advertisement

সূত্রের খবর, বংশীহারির কেনদ্রা হরিপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সরাইহাট এলাকায় একটি গ্যারাজে টায়ারের মিস্ত্রি। কয়েকদিন আগে ওই গ্যারাজের সামনে একটি দুর্ঘটনা হয়। সেই সময় ওই এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়াররা সাজ্জাদকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি সরিয়ে দেবার অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধে সাজ্জাদ গাড়িটি সরিয়েও দেন। তারপর সেই গাড়ির ভেতরে থাকা মোবাইল ফোন ও কয়েকটি জিনিস খোয়া যায় বলে অভিযোগ। সাজ্জাদ সেইসব জিনিস চুরি করেছে এমন সন্দেহে বংশীহারি থানার পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে বেধড়ক পেটায়। গত বুধবার দুপুরে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যাণ্ডে ট্রাফিক মোড়ে প্রহৃত সাজ্জাদ রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশ কেন তাঁকে বিনা কারণে মারল, তার জবাব দিতে হবে এই দাবি তুলে প্রথমে গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। এরপর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

সাজ্জাদের বাবা মইনুদ্দিন হোসেন বুনিয়াদপুর মোটর ভিকেইলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। এই ঘটনায় সেই সংগঠনের তরফে পুলিশি জুলুমের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক বিনয়চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘‘বংশীহারি থানার পুলিশ অহেতুক সবার উপরে জুলুম করছে। একটা নিরপরাধ ছেলেকে তুলে নিয়ে মারল। এই ঘটনায় যুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হওয়া উচিত।’’

মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘পুলিশ যদি জুলুম করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।’’ জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement