— প্রতীকী চিত্র।
কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল জেলায়। তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দু’দিন ধরে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার। পরে পরিবারের সদস্যরাই খোঁজাখুঁজি করে মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেন এবং রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
নির্যাতিতার দাদা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাড়িতে তাঁর বোন একাই ছিলেন। সেই সময়েই অভিযুক্ত তাঁর বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি খেলার মাঠ আছে। রবিবার সেই মাঠে স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েকে নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। বোন তখন বাড়িতে একাই ছিল। ওই সময়েই অভিযুক্ত আমার বাড়ি থেকে বোনকে তুলে নিয়ে যায় এবং বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করে।”
বাড়ি ফেরার পর থেকে বোনকে আর দেখতে পাননি। খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন তাঁরা। শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ওই এলাকা থেকে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকাতেই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার দাদা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার আগে অভিযুক্ত যুবক তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এর পর তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে দু’দিন ধরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীরা সন্দেহজনক কিছু ঠাহর করার পর তরুণীর পরিবারকে খবর দেন। এর পর মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার দাদা। এ বিষয়ে ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি।
উল্লেখ্য, অগস্টের শেষের দিকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর তৎপর হয়েছিল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাও গিয়েছিলেন নাবালিকা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। এরই মধ্যে জেলায় আরও এক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। পর পর এই অভিযোগগুলি উঠে আসায় অভিযুক্তদের কঠোরতম সাজার দাবি তুলেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানও। সংগঠনের নেতা অমল মার্ডি বলেছেন, “আরজি করের ঘটনার পর থেকে পূর্ব বর্ধমানে এবং আমাদের জেলায় আদিবাসী মেয়েদের উপর অন্যায় হচ্ছে। এটিকে আমরা ভাল ভাবে নিচ্ছি না।”