বেঙ্গালুরুর মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসকে জিতিয়ে ব্যাট ঢুকে উৎসব লোকেশ রাহুলের। ছবি: এক্স।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান লোকেশ রাহুল। আর সেই ছক্কার পরেই ব্যাট দিয়ে পিচের উপর গোল করে দেখান তিনি। তার পর ব্যাট ঠুকলেন পিচে। হাত দিয়ে পিচের দিকে ইঙ্গিত করলেন। বুঝিয়ে দিলেন এই মাঠ তাঁরই। ঠিকই তো। রাহুল তো কর্নাটকেরই ছেলে। বেঙ্গালুরুর মাঠে খেলেই বড় হয়েছেন। আইপিএলেও প্রথম নজর কেড়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেই।
২০১৩ সালে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল রাহুলের। বেঙ্গালুরুর জার্সিতেই প্রথম আবির্ভাব। যদিও রাহুলের পরিচিতি বৃদ্ধি পায় ২০১৬ সালে। সে বার বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৪ ম্যাচে ৩৯৭ রান করেছিলেন তিনি। চারটি অর্ধশতরান করেছিলেন। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে রাহুল ভারতীয় দলেও নিজের জায়গা তৈরি করতে শুরু করেন। কিন্তু বেঙ্গালুরু তাঁকে রাখেনি। রাহুল কখনও পঞ্জাব কিংস, কখনও লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছেন। এ বারের আইপিএলে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসে।
আরসিবি ছাড়ার পর সেই দলের বিরুদ্ধে রাহুলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভাল। ১৬টি ইনিংসে ৭৪১ রান করেছেন তিনি। একটি শতরান এবং চারটি অর্ধশতরানও রয়েছে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। ম্যাচ শেষে রাহুল বলেন, “এটা তো আমার ঘরের মাঠ। অন্য সকলের থেকে বেশি চিনি এই মাঠকে। এখানে খেলতে পছন্দ করি আমি। ভাগ্য ভাল, ক্যাচ পড়েছিল।”
এই মাঠ যে তাঁরই সেটা ম্যাচ শেষে তাঁর উচ্ছ্বাসের ভঙ্গিতেই স্পষ্ট। যে ভাবে পিচের উপর ব্যাট ঠুকলেন, তাতে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন মাঠে যেন নিজের পতাকা পুঁতে দিলেন তিনি। ঘরের মাঠে নিজের নাম লিখে দিলেন। পুরনো দলের বিরুদ্ধে তাঁর সেই আগ্রাসন পুরস্কার নেওয়ার সময়েও দেখা যায়। তিনি হাত মেলাননি বেঙ্গালুরুর কর্তার সঙ্গে।
দিল্লির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যে পিচে খেলা হয়েছিল, সেখানে ব্যাট করা সহজ ছিল না বলেই মনে করছেন রাহুল। তিনি বলেন, “উইকেটটা ব্যাট করার জন্য খুব সহজ ছিল না। তবে ২০ ওভার উইকেটের পিছনে ছিলাম। সেই সময় বুঝে গিয়েছিলাম পিচটা কেমন। বল থমকে আসছিল। ধারাবাহিক ভাবেই সেটা হচ্ছিল। আমি শুরুটা ভাল করতে চেয়েছিলাম। তাই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছিলাম।”
৫৩ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাবে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জেতে দিল্লি। নেপথ্যে রাহুলের ইনিংস।