পুলিশের হাতে ধৃত মূল অভিযুক্ত। —নিজস্ব চিত্র।
মালদহ থানা এলাকায় আদিবাসী নাবালিকা স্কুলছাত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধৃত যুবকের নাম জিতু মুর্মু। অভিযুক্ত মৃত স্কুলছাত্রীর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে মালদহ থানা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা থেকে ওই নবম শ্রেণির ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মালদহ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই ঘটনার চার দিন পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুক্রবার পরিত্যক্ত ইটভাঁটা থেকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পুরাতন মালদহে। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ১৩ বছরের ওই বালিকা নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু তার পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা দেহটি দেখতে পান। কয়েক জনের মারফত খবর পেয়ে গ্রামের পাশে পরিত্যক্ত একটি ইটভাঁটায় ছুটে যান ছাত্রীর পরিবারের সদস্যেরা। মেলে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মৃতার পরিবারই দাবি ছিল, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে আদিবাসী ছাত্রীর মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। তার মধ্যেই সোমবার মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যায় রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।