—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশের রংপুরের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শিবচণ্ডীপুরের বাসিন্দা বিটু রায়। তিনি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সামাজিক মাধ্যমে বছর তেইশের বিটুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার অম্বিকা-কালনার বাসিন্দা বছর বত্রিশের রিয়া বালার। কথাবার্তা থেকে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবায় বিটুর পিসির বাড়ি রয়েছে। কিছু দিন আগে সেখানে দু’জনের বিয়ে করেন। প্রায় এক মাস এখানেই ছিলেন বিটু। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশে ফিরে যান। কিন্তু অভিযোগ, বাংলাদেশে যাওয়ার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাঁর সঙ্গে। শেষে পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে তাঁর নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান রিয়া। কিন্তু সেখানেও তিনি স্বামীকে খুঁজে পাননি। শেষে বিটুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেখানকার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
বিটুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে দেশের পুলিশ। গত শনিবার ফুলবাড়ি সীমান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন রিয়া। বাংলাদেশের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, বিটুকে খুঁজে পাওয়া গেলে তাঁকে জানানো হবে। মঙ্গলবার বিটুর খোঁজ মেলার খবর রিয়াকে জানায় তারা। বুধবার বিটুর পরিবারের সদস্যেরা ফুলবাড়ি সীমান্ত হয়ে বেলাকোবায় পৌঁছন। সেখানেই দুই পরিবারের মধ্যে কথা হয়। বিটুর বাবা অখিলচন্দ্র রায় বলেন, "ছেলে এখন স্ত্রীর সঙ্গে থাকবে বলে জানিয়েছে। বৌমাও বাংলাদেশে যেতে চাইছে। দু’তরফেই লিখিত দেওয়া হয়েছে।"