—প্রতীকী চিত্র।
এক সময় গাঁজা ও মদের বেআইনি কারবারের অভিযোগ উঠত কোচবিহারে। সে তালিকায় নতুন সংযোজন হয়েছে মাদক ব্রাউন সুগার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক ধরে কোচবিহারে রমরমা কারবার শুরু হয়েছে ব্রাউন সুগারের। রবিবার ব্রাউন সুগার-সহ এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর খানেক আগে ওই কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত পুলিশকর্মী কোচবিহার পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, ওই কনস্টেবল নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশের অভিযানের খবর পৌঁছে দিতেন ড্রাগের কারবারীদের কাছে। কয়েক বার অভিযানে ব্যর্থ হওয়ার পরে ওই কনস্টেবলের উপরে নজরদারি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
তবে ব্রাউন সুগারের কারবার তাতে শেষ হয়নি। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মালদহ থেকে ব্রাউন সুগার আনা হচ্ছে কোচবিহারে। রবিবারের অভিযানে ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও কারা ওই কারবারে যুক্ত রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ব্রাউন সুগারের মূল কারবার হয় মালদহে। মালদহের কালিয়াচকে ওই কারবারের কয়েক জন বড় চাঁই রয়েছে। সেখান থেকেই কখনও গাড়িতে, কখনও ট্রেনে ব্রাউন সুগার পৌঁছয় কোচবিহারে। কোচবিহারের কয়েক জন ওই কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ব্রাউন সুগার পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয় ‘ক্যারিয়ার’। ওই কাজে বেশ কিছু যুবক নিযুক্ত রয়েছে। যাদের ব্রাউন সুগার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়। পরিমাণ অনুযায়ী টাকা মেলে। কখনও দশ, কখনও কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। রবিবার কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকায় এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আব্দুর রহিম। তার বাড়ি মালদহের কালিয়াচকে। অভিযোগ, সেখান থেকে ২৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার কোচবিহারে এনে হাতবদল করার চেষ্টা করছিল আব্দুর। সেই সময়ই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কোচবিহারের একটি অংশের তরুণ ওই নেশার প্রকোপে পড়েছে। এক গ্রাম ব্রাউন সুগার দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ওই কারবারীরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজের আশেপাশে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে। সে দিকে নজর রয়েছে পুলিশের।