Tea Garden

পাতা তোলা বন্ধে কড়া পর্ষদ

পর্ষদ মনে করে, পাতার গুণগত মান পড়ে যাওয়াতেই দাম কমেছে। পাতার মান কমে যাওয়ার পিছনে বাগান কর্তৃপক্ষের একাংশের মনোভাবকেও দায়ী করেন চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৩২
Share:

—ফাইল চিত্র

শীতের মরসুম নিয়ে আরও একবার ছোট-বড় সব চা বাগানকে সর্তক করে দিল চা পর্ষদ। চা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফে উত্তরবঙ্গ এবং বিহারের সব চা বাগানকে জানানো হল, কোনও পরিস্থিতিতেই শীতের সময়ে যেন চা পাতা উৎপাদন না হয়। আজ শনিবার থেকে পাতা তোলা বন্ধ হচ্ছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলিতে। নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে চা পর্ষদের একাধিক দল বিভিন্ন চা বাগানে হানা দিতে শুরু করেছে। বাগানে পাতা তোলা বন্ধ করার নির্দেশিকা আগেই জারি করেছিল চা পর্ষদ। এ বার আরও এক প্রস্ত নির্দেশিকা কেন তা নিয়ে চা শিল্পে প্রশ্ন উঠছে। পর্ষদের দাবি, চায়ের দাম যে ভাবে কমে গিয়েছিল তাতেই উৎপাদনে রাশ টানার সিদ্ধান্ত।

Advertisement

কোভিড পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রথম (ফার্স্ট) ফ্লাশের সময় থেকেই চা বাগানে ক্ষতির ধাক্কা এসেছে। প্রথম ফ্লাশের শুরুর সময়েই দু’সপ্তাহের কাছাকাছি পাতা তোলা বন্ধ ছিল। তার পরে পাতার দাম উঠতে থাকে। ডুয়ার্সের চা পাতার দাম কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকাতেও পৌঁছে গিয়েছিল। বাগানের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদের মনে হয়েছিল ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে। কিন্তু আবার একই ভাবে পাতার দাম পড়তে শুরু করে। এক সময়ে তা কেজি প্রতি ১০০-১২০ টাকায় নেমে আসে।

পর্ষদ মনে করে, পাতার গুণগত মান পড়ে যাওয়াতেই দাম কমেছে। পাতার মান কমে যাওয়ার পিছনে বাগান কর্তৃপক্ষের একাংশের মনোভাবকেও দায়ী করেন চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। অতিরিক্ত উৎপাদনের আশায় খারাপ পাতাও তোলা হয়েছে বলে একাংশের দাবি। সেই প্রবণতাতেই লাগাম টানতে বারবার শীতের সময়ে পাতা উৎপাদন বন্ধ করতে চা পর্ষদ আসরে নেমেছে।

Advertisement

চা বিশেষজ্ঞদের কারও কারও কথায়, শীতের সময়ে সাধারণত পাতা তোলা বন্ধ থাকে। কারণ, এই সময়ের পাতার মান ভাল হয় না। কিন্তু এ বারের পরিস্থিতি আলাদা। তাই অতিরিক্ত মুনাফার আশায় কেউ কেউ সেই খারাপ পাতাই তুলে পারেন বলে আশঙ্কা। তাই আগেভাগে সর্তক করে রাখল চা পর্ষদ।

পর্ষদের এক কর্তার কথায়, “একটি বা দু’টি বাগানের ভুল পদক্ষেপ পুরো শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ বার কড়া মনোভাব নেওয়া হচ্ছে। সে কথাই বাগানগুলিকে আগে থেকে জানিয়ে রাখা হল।” ছোট চা বাগানগুলির সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “চা পর্ষদের সতর্কবার্তা আমাদের সব সদস্য বাগানকে পাঠিয়ে দিয়েছি। নির্দেশের পুরোটাই আমরা মেনে চলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement