কলকাতা হাই কোর্টের নতুন বাড়ি। জলপািগুড়ি। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নিজস্ব স্থায়ী ভবন পরিদর্শন করতে জানুয়ারি মাসে জলপাইগুড়িতে আসতে পারেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম, এমনই দাবি প্রশাসন সূত্রের। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পরিদর্শনের পরে, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির সম্মতি পেলেই আগামী মার্চ মাসের পরে, যে কোনও দিন জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে কলকাতা হাই কোর্টের স্থায়ী ভবনে কাজ শুরু হতে পারে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ মাসের মধ্যেই স্থায়ী ভবনে ছ’টি আদালত কক্ষের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে সার্কিট বেঞ্চে চারটি আদালত কক্ষে দু’টি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং একক বেঞ্চের কাজ হচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের পরে, যে কোনও সময় থেকে স্থায়ী ভবনে সার্কিট বেঞ্চের চারটি বেঞ্চের কাজ চালু হতে পারে। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, বিচার বিভাগ চাইছে একেবারে পুরো পাঁচ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ এবং স্থায়ী ভবন চত্বরের যাবতীয় কাজ শেষ হলে তবেই ‘গৃহপ্রবেশ’ হোক। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। বাকি রয়েছে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট-সহ তথ্য-প্রযুক্তির পরিকাঠামোর কাজ। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরের মার্চের পর থেকে পুজোর আগে পরের সময়ের মধ্যে স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হতে পারে।
জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে হাই কোর্টের মূল ভবনের সামনে দিয়ে গিয়েছে পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক। মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময়ে বৃহৎ ভবনটি চোখে পড়ে। কলকাতায় হাই কোর্টের মূল ভবনের স্থাপত্যরীতিতে তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ির ভবনটি। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভবনের ছবিও ছড়িয়েছে। স্থায়ী ভবনেরউদ্বোধনে রাজ্য তথা দেশের বিচারবিভাগ এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে খবর। পূর্ত দফতরের এক শীর্ষ বাস্তুকারের কথায়, “নির্মাণ কাজ শেষের পথে। তিন মাসের মধ্যে মূল ভবনটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, সার্কিট বেঞ্চের মূল প্রবেশ পথের রাস্তা নিয়ে জট তৈরি হয়েছিল। তাই হাতে কিছুটা সময় রেখে উদ্বোধনের সময় হিসেব করা হচ্ছে। সার্কিট বেঞ্চে মোট সাতটি প্রবেশপথ তৈরি হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন সংলগ্ন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় অস্থায়ী ভবনে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের কাজ চলছে। তার জন্য জেলা পরিষদ ডাকবাংলোকে ভাড়াও দিতে হয়। আইনজীবীদের দাবি, স্থায়ী ভবনে গেলে বেঞ্চের সঙ্গে আর ‘সার্কিট’ শব্দটি থাকবে না। তা পরিচিত হবে কলকাতা হাই কোর্টের বেঞ্চ নামে। বর্তমানে অস্থায়ী ভবনে মাসে নির্দিষ্ট সময়ে সার্কিট বেঞ্চ বসে। স্থায়ী ভবনে প্রতিদিন কাজ হবে। তাতে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের মামলাও শোনা হবে।