বেপরোয়া: রায়গঞ্জ মেডিক্যালের লিফটে রোগীদের পরিবারের লোকেদের ভিড়। রয়েছে শিশুও। নেই সামাজিক দূরত্ব। নিজস্ব চিত্র।
পুজো শেষ হতেই করোনার ‘গ্রাফ’ ওঠা-নামা শুরু হয়েছে মালদহে। কোনও দিন জেলায় এক, কোনও দিন আবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছুঁয়েছে দুই অঙ্কে। সংক্রমণের গ্রাফ ওঠা-নামা করলেও পরীক্ষার হার কমেছে করোনার। তাই পুজোর পরে জেলায় ঢালাও হারে করোনা পরীক্ষার দাবি উঠেছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, “করোনা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুত রয়েছে হাসপাতাল গুলিতে। তবে করোনা পরীক্ষা নিয়ে আগ্রহ কমেছে মানুষের। তাতেই করোনা পরীক্ষার হার কমেছে জেলায়।”
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এক হাজার জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেও একাধিক দিন জেলায় সংক্রমণ ছিল শূন্য। এ ছাড়া দিনের পর দিন জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল এক অঙ্কেই। পুজো শেষ হতেই বদলাচ্ছে ছবিটা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পরে কোনও দিন ৯, কোনও দিন আবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৪। করোনার গ্রাফ ওঠা-নামা নিয়েই চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের দাবি, পুজোয় করোনা বিধি উড়িয়ে ভিড় দেখা গিয়েছে মণ্ডপগুলিতে। মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়েছে ভিড়। তাতেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
তবে জেলায় করোনা পরীক্ষার হার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় ১৭টি কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এখন দৈনিক গড়ে এক হাজার জনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও মাস খানেক আগেই জেলায় নিয়ম করে দুই থেকে আড়াই হাজার জনের করোনা পরীক্ষা হত জেলায়।
কেন কমেছে পরীক্ষা? এক কর্তা বলেন, “টিকা হয়ে যাওয়ায় উপসর্গ থাকলেও বহু মানুষই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ায় করোনা পরীক্ষা কমেছে জেলায়।” মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরীক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। মানুষকে এখনও সচেতন হতে হবে। উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা করাতে
হবে।”