Petrol Pump Strike

পাম্প ধর্মঘটে হয়রানি গৌড়বঙ্গে

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অন্তত কুড়িটি পেট্রোল পাম্পের কাছে অন্তত দু’কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়ার হিসেব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৯
Share:

ধর্মঘটের জেরে সুনসান পেট্রল পাম্প। রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকার একটি পেট্রল পাম্প। ছবি: গৌর আচার্য।

জ্বালানির কমিশন বাড়ানো এবং পঞ্চায়েত ভোটের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যবহার করা তেলের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকল পেট্রল পাম্প। এ নিয়ে উত্তরবঙ্গ পেট্রলিয়াম ডিলার্স সংগঠন প্রচার করলেও, বৃহস্পতিবার পেট্রল না পেয়ে নাজেহাল হলেন বেশ কিছু মানুষ। চলল না বেশ কিছু বাস। তেমনই, পাম্পের পাশে তেলের কালোবাজারিরও অভিযোগ উঠল গৌড়বঙ্গের একাধিক এলাকা থেকে।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অন্তত কুড়িটি পেট্রোল পাম্পের কাছে অন্তত দু’কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়ার হিসেব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই টাকা দেওয়া হবে। জেলায় ৩৯টি পাম্প রয়েছে। সবগুলোই বন্ধ ছিল এ দিন। কোনও গাড়িই তেল পায়নি। গঙ্গারামপুর, হিলি, তপন, কুমারগঞ্জের একাধিক পাম্পে এসে গ্রাহকেরা ফিরে যান। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে মাছ ব্যবসায়ী সন্তু হালদার হিলি মোড়ের কাছে একটি পাম্পে স্কুটারের জ্বালানি ভরতে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘আগে থেকে খেয়াল করতে পারিনি। খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তেল পেলাম না।’’ যদিও জেলার একাধিক পাম্পের পাশে ১২০-১২৫ টাকায় পেট্রোলের কালোবাজারি হয় বলে অভিযোগ।

এ দিন উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকে সকাল থেকে বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে তেল নিতে গিয়ে ফিরে আসেন গাড়ি ও মোটর বাইকের চালকেরা। রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমার গ্রামীণ এলাকার মুদিখানা, চা কিংবা বাইক মেরামতির দোকান-সহ নানা জায়গায় পেট্রলের কালোবাজারি হয়। ইটাহারের বাসিন্দা পেশায় চাল ব্যবসায়ী মহাদেবচন্দ্র বর্মণ বলেন, “রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আত্মীয় দেখতে আসার জন্য ইটাহারের শ্রীপুর এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে দেড়শো টাকা দিয়ে বাইকে এক লিটার পেট্রল ভরতে বাধ্য হই।” পাম্প ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা নেতা দুলাল কুণ্ডু এই দিনবলেন, ‘‘দাবি না মিটলে, ফের আন্দোলন হবে।’’

Advertisement

পাম্প ধর্মঘটের জেরে, বৃহস্পতিবার মালদহ জেলায় প্রভাব পড়ে যাত্রী পরিবহণে। জেলার বেশ কয়েকটি রুটে বেসরকারি বাস চলে কম। বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। মালদহ জেলা বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘পাম্প ধর্মঘটের জেরে, রাস্তায় বাস চালাতে অনেকে ঝুঁকি নেননি।’’ যাত্রী পরিবহণের অন্য গাড়িও রাস্তায় কম ছিল। পাম্পে এসে ঘুরে যেতে দেখা গিয়েছে বহু মোটর বাইক আরোহীকে। জেলা পেট্রল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েনের জন্য পাম্প থেকে কয়েক লক্ষ টাকার তেল নেওয়া হয়েছিল।" বকেয়া বিল নিয়ে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement