—ফাইল চিত্র।
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরে আতঙ্ক আরও বাড়ল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। একই ছবি জেলার অন্য কয়েকটি প্রান্তেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাগরিকত্ব বজায় ‘রাখার’ তাগিদে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রায়গঞ্জ শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার মুখ্য ডাকঘরের সামনে আধার কার্ড সংশোধন, সংযোজন ও নতুন আবেদন জানাতে রায়গঞ্জ মহকুমার কয়েক হাজার বাসিন্দা ভিড় জমান।
কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁও এলাকার বাসিন্দা, কৃষিজীবী মহম্মদ কায়সার রেজা আলম বলেন, ‘‘আমার আধার কার্ডে নামের বানান ভুল রয়েছে। ছেলের আধার কার্ডে পদবি নেই। ভাইঝির এখনও আধার কার্ড হয়নি। এমআরসি লাগু হলে, এ সব ঠিক না থাকলে নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ যাবে বলে শুনেছি। তাই সকাল থেকে এই লাইনে দাঁড়িয়েছি।’’
কালিয়াগঞ্জের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক তপন দেবসিংহের বক্তব্য, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে এ রাজ্যের সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষেছে বিজেপি। অন্য সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা পূর্বপূরুষের জমির নথি দেখাতে না পারলে তাঁদেরও ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকানো হতে পারে।’’ তবে ওি কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘ওই বিলে বৈধ নাগরিকদের কোনও সমস্যা হবে না।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি সংসদ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। এলাকাবাসী অনেকের কথায়, ‘‘নাগরিক সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরে রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ বাসিন্দা এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত। তাঁদের অনেকেই জমির পুরনো নথি নেই। অনেকে সরকারি শরণার্থী শংসাপত্রও পাননি। ভয় ছড়িয়েছে ভোটার কার্ড, রেশন ও আধার কার্ড থাকা সত্বেও এনআরসির জেরে তাঁদেরও বাংলাদেশে পাঠানো হবে কিনা।’’