চোপড়া বিডিও অফিস চত্বর ছাড়া বাকি অংশের জনজীবন স্বাভাবিক।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে। এমনটাই জানা গিয়েছে ইসলামপুর জেলা পুলিশ সূত্রে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ওই সংঘর্ষের পর রাতভর চলে পুলিশি অভিযান। তাতে ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ ঘটে চোপড়ায়। বাম এবং কংগ্রেসের দাবি, ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মনসুর নইমুল নামে এক সিপিএম কর্মী। যদিও পুলিশের দাবি, নইমুল ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও শুক্রবার থমথমে পরিস্থিতিই দেখা গিয়েছে চোপড়া বিডিও অফিস চত্বরে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। তবে চোপড়ার বাকি অংশের জনজীবন স্বাভাবিক। খোলা রয়েছে দোকানপাট। সকাল থেকে ভিড় জমান ক্রেতারাও। চলছে যানবাহনও।
বৃহস্পতিবার বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা চোপড়ায় মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। আচমকা সেই মিছিলের উপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তার জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাম নেতৃত্বের। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এ নিয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জশপ্রীত সিংহ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ওই সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা আট। তাঁদের মধ্যে তিন জন ভর্তি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু ঘটেনি।