ছুটির নাম করে দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে না আসায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের এক চিকিৎসকের বেতন আটকে দিল কর্তৃপক্ষ৷ তবে ওই বিভাগের আরেক চিকিৎসকও ছুটিতে থাকায় চরম সমস্যায় রোগীরা৷ গত প্রায় সাত দিন ধরে হাসপাতালের ওই বিভাগ কার্যত বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে৷ জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন৷ যার মধ্যে শুভদীপ মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক অগস্ট মাসের শেষের দিক থেকেই ছুটিতে৷ আর বাবার অসুস্থতার কারণে আরেক চিকিৎসক কয়েকদিন আগে ছুটিতে গিয়েছেন৷ ফলে অর্থোপেডিক চিকৎসককে দেখাতে এসে প্রতিদিনই ঘুরে যেতে হচ্ছে অনেককে৷ রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে মাঝেমধ্যেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটে৷ সেই সব দুর্ঘটনায় আহতদের অনেককে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে আনা হয়৷ কিন্তু অর্থোপেডিক চিকিৎসকের অভাবে তাদের অনেককে অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে৷
সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাত দিনের জন্য ছুটিতে যাওয়ার কথা বলে এক চিকিৎসক এখনও কাজে যোগ দেননি৷ বারবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির দিন বাড়িয়ে চলছেন৷ এই বিভাগের অপর চিকিৎসক একাই বিভাগটা সামলাচ্ছিলেন৷ কিন্তু প্রয়োজনেই তাঁকে ছুটিতে যেতে হয়েছে৷ হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘সাত দিনের ছুটির কথা বললেও, অগস্ট মাসের শেষের দিক থেকে অসুস্থতার কথা বলে কাজে যোগ দিচ্ছেন না শুভদীপ মণ্ডল৷ তিন বার তাঁকে শোকজ করা হয়েছে৷ তাতেও কাজ না হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে তার মাইনেও আটকে দেওয়া হয়েছে৷ তবুও ওই চিকিৎসক কাজে যোগ না দিয়ে ছুটি বাড়িয়েই চলছেন৷’’ তবে শুভদীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াতেই তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ছুটি নিয়ে বিশ্রামে থাকতে বাধ্য হয়েছি। অসুস্থতার সমস্ত নথিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।’’ সুপার বলেন, এই বিভাগের আরেক চিকিৎসকের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্যই তিনিও ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছেন৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও একজন চিকিৎসককে দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে বলা হয়েছে৷