(বাঁ দিকে) কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।— ফাইল চিত্র। কসবার খালে পিস্তলের খোঁজে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় দ্বিতীয় অস্ত্রের খোঁজে খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে। সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। কসবা এলাকার একটি খালের জলে পিস্তলের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান, আরও একটি অস্ত্র নেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে খুন করা বা ভয় দেখানোর জন্য। সেই অস্ত্রটি খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত। শুক্রবার তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সুশান্তকে মারতে স্কুটারে করে দু’জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন। স্কুটারের পিছন থেকে এক জন নেমে পিস্তল তুলে ধরেন কাউন্সিলরের সামনে। দু’বার গুলি চালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গুলি করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পিস্তলটি কাজ করেনি। সেই সময়ে দুষ্কৃতী পালানোর চেষ্টা করলে সুশান্ত এবং তাঁর লোকজন তাঁকে ধরে ফেলেন। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুটার যিনি চালাচ্ছিলেন, তাঁকে ধরা যায়নি। এখনও তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, স্কুটার চালকের কাছেও একটি পিস্তল ছিল। সেটি পালানোর সময়ে তিনি ফেলে দিয়ে থাকতে পারেন। খালের পাশ দিয়েই তিনি পালিয়েছেন। ফলে পিস্তলটি ওই খালের জলে ফেলা হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই রবিবার সকালে খালে ডুবুরি নামায় পুলিশ। ওই পিস্তলের খোঁজ এখনও মেলেনি।
সুশান্তকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিনই ধরা পড়েন ‘শুটার’ যুবরাজ সিংহ। পরের দিন সকালে এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর নাম আহমেদ খান। ‘শুটার’দের নিয়ে তিনি হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর এই ঘটনার অন্যতম মূলচক্রী আফরোজ় খান ওরফে গুলজ়ারকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার। তিনি বিহারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।