North East Express Derailment

চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে ফিরলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীরা

বৃহস্পতিবার বিকাল সওয়া ৫টা নাগাদ ট্রেনটি এনজেপি স্টেশনে পৌঁছায়। রেলের তরফে সকল যাত্রীদের জন্য খাবার, জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

Advertisement

শুভঙ্কর পাল

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

বিশেষ ট্রেন থেকে নামছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার এনজেপি স্টেশনে। —নিজস্ব চিত্র।

এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে ঘরে ফিরলেন নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। বিহারের বক্সারে বুধবার রাতে লাইনচ্যুত হয় আনন্দ বিহার-কামাক্ষ্যা রুটের ওই ট্রেন। সেই ট্রেনে দার্জিলিং জেলা ও আশপাশের প্রচুর যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে স্পেশাল একটি ট্রেনে এনজেপি স্টেশনে নামেন প্রায় ২৬৩ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। পুজোর আগে ট্রেনে বাড়িতে ফিরছিলেন অধিকাংশ যাত্রীরা। কিন্তু দুর্ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত সকলে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকাল সওয়া ৫টা নাগাদ ট্রেনটি এনজেপি স্টেশনে পৌঁছায়। রেলের তরফে সকল যাত্রীদের জন্য খাবার, জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে চিকিৎসককে দেখান। কয়েক জনের হাত, পায়ে চোট ছিল। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কর্মসূত্রে ছেলেকে নিয়ে দিল্লিতে থাকেন দার্জিলিঙের বাসিন্দা প্রিয়া প্রধান। তিনি যে কামরায় ছিলেন, সেটি পুরো উল্টে গিয়েছিল। কোনও মতে ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এ দিন তিনি বলেন, “রাতে খাবার খেয়ে আমি ও ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ঝাঁকুনি লাগছে টের পাই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন উল্টে যায়! চারিদিকে চিৎকার শুনতে পাই। কোনও মতে ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসি। ছেলে ব্যাগগুলি বের করা আনে। রাতে স্টেশনেই ছিলাম। ভোরে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।”

অরুণ কুমার নামে আর এক যাত্রী বলেন, “দুর্ঘটনার পরে ট্রেন থেকে বেরিয়ে এসে দেখি, চারদিকে অন্ধকার। যাত্রীরা চিৎকার করছেন। হাতে চোট নিয়ে কয়েক জনকে উদ্ধার করি। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও সাহায্য করেন। এর পর থেকে ট্রেন উঠতেও ভয় লাগবে।”

Advertisement

এনজেপি স্টেশনে ছিলেন কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ার। তিনি বলেন, “আগে থেকে যাত্রীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। শিলিগুড়ির বাইরে যে সমস্ত যাত্রীদের বাড়ি তাঁদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement