Chopra

জোড়া খুন! সরব বিরোধী

বিধায়কের বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে এ দিন তৃণমূলের দলীয় বৈঠক ছিল। উদ্দেশ্য, এলাকার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী বাছাই।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু , অভিজিৎ পাল

চোপড়া শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৮:১২
Share:

চোপড়ায় গন্ডগোলের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এলাকায় জোড়া খুনের জেরে প্রশ্নের মুখে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। বৃহস্পতিবার চোপড়ার যেখানে গুলি চলে, সেই দিঘাবানা এলাকাতেই বাড়ি বিধায়কের। অশান্তির ঘটনায় বিধায়কের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে হামিদুল এ দিন বলেন, ‘‘দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে কটাক্ষ, টিটকিরি নিয়ে গোলমাল ঘটেছে। কিছু লোক গুলি চালিয়েছে। পুলিশকে বলেছি, যারাই এর সঙ্গে যুক্ত গ্রেফতার করুন।’’

Advertisement

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের দাবি, ‘‘শাসক দলের কাদের হাতে এলাকার কারবার থাকবে, তা নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। ঘটনা তারই জের।’’ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও চোপড়ার একাধিক এলাকায় গোলমাল হয়, গুলি চলে। কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা অশোক রায় বলেন, ‘‘পুলিশ বিষয়টি দেখুক।’’ সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আনওয়ারুল হকের দাবি, ‘‘চোপড়ায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই গুলি-বন্দুক রয়েছে। বিধায়কের এলাকায় এই ঘটনায় কেন ঘটবে, তিনি দেখুন।’’

বিধায়কের বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাঠে এ দিন তৃণমূলের দলীয় বৈঠক ছিল। উদ্দেশ্য, এলাকার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী বাছাই। নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়কের ভাই তাজিমুদ্দিন। বৈঠকে থাকা কয়েক জন জানান, চারটি নাম প্রাথমিক ভাবে বাছা হলেও, তা নিয়ে দলের অন্দরে মতানৈক্য হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৈঠক শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে তৃণমূলের দুই ‘শিবির’ একে অন্যের দিকে গুলি চালাতে শুরু করে।

Advertisement

তাজিমুদ্দিন জানান, চার জনের নাম প্রাথমিক ভাবে বৈঠকে ঠিক হয়েছিল। কে শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবেন তা দলের ব্লক, জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতিসাপেক্ষ। সে সব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তা হলে গুলি চলল কেন? তাজিমুদ্দিনের দাবি, গোলমাল শুরু হল কেন, বুঝতে পারছি না।’’ তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, দলের থেকে কাউকে এ ভাবে বৈঠক করে প্রার্থী ঠিক করতে বলা হয়নি। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘চোপড়ায় কী ঘটেছে, তা স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জানব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement