শিবরাত্রি উপলক্ষে বালুরঘাটের আত্রেয়ী কলোনিতে শিশুদের দুধ বিলি করলেন মহিলা তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে, শিবরাত্রিকে কেন্দ্র করে জনসংযোগে দেখা গেল রাজনৈতিক নেতাদের। শনিবার দুই দিনাজপুর ও মালদহে এ দৃশ্যই দেখা গিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এ দিন রায়গঞ্জের ফরেস্ট মোড় ও দেবীনগরের রামকৃষ্ণপল্লির দেবপুরী মন্দিরে গিয়ে শিবপুজোয় যোগ দিয়ে মহিলা ও পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। দেবপুরী মন্দিরের কর্তা তথা রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম অধিকারীর উদ্যোগে শিবরাত্রি উপলক্ষে শহরে শোভাযাত্রা হয়। শনি ও রবিবার ওই মন্দিরে শিব পুজোর পাশাপাশি, সোমবার থেকে আট দিন ব্যাপী মন্দির চত্বরে মেলা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ইসলামপুরের রামগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শিবরাত্রির ব্রত পালনকারী পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। কৃষ্ণ ও কানাইয়ার অবশ্য দাবি, দলের নেতারা সারাবছরই সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বজায় রাখেন।
রায়গঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে শিবপুজোয় বিজেপির জেলা নেতাদের অনেকেই শামিল হন। অন্য দিকে, এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় শিবরাত্রির পুজোয় যোগ দেন বিজেপি নেতারা। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খিদিরপুর শিবমন্দিরে শিবপুজোয় যোগ দেন।
মালদহের মানিকচকের গঙ্গা নদীর ঘাটে প্রতি বছর শিবরাত্রি উপলক্ষে বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমান। পুণ্যার্থীরা নদী থেকে জল নিয়ে কেউ হেঁটে, কেউ আবার গাড়িতে করে বিভিন্ন শিব মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন। এ বছর পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে ‘জলসত্র’ চালু করে পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পরে, ওই এলাকা-সহ জেলা জুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে শিব পুজোয় যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা।
বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিষেবা চালু ছিল।” মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী জানিয়েছেন, দলের তরফে এ দিন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুণ্যার্থীদের জন্য পানীয় জল সরবরাহ ও তাঁদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।