Trinamool Panchayat member

পঞ্চায়েত প্রধান ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’! কোচবিহারে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেলেন উপপ্রধান

বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আইনুল হক মিয়ার দাবি, তাঁকে কার্যত অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৪
Share:

নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত যত এগিয়ে আসছে, তত শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের ‘খবর’ প্রকাশ্যে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। এ বার কোচবিহারেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও দলের অঞ্চল কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ তুললেন উপপ্রধান। সোমবার বিডিওর হাতে পদত্যাগপত্রও তুলে দিতে যান তিনি। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় বিডিও ঋষিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও পদত্যাগপত্র জমা পড়েনি। কেউ পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা অবশ্যই গ্রহণ করা হত। এই নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শাসকদল যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রধানের মতো ‘লুটেপুটে খেতে’ পারেননি বলেই উপপ্রধান পদত্যাগ করতে চাইছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, এত বছর পর কেন উপপ্রধানের মনে হল যে, গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়েছে?

Advertisement

বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আইনুল হক মিয়ার দাবি, তাঁকে কার্যত অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান। বোর্ডের বৈঠকে কাজের খতিয়ান জানতে চাইলে তা-ও দেওয়া হয় না। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আফতার আলির বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে উপপ্রধান। তাঁর দাবি, প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি দু’জনে মিলে দুর্নীতি করছেন। কমিউনিটি হলের কাজের জন্য ৮ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আইনুল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল কাজ করছেন। কিন্তু দলের নেতারা সব লুট করছেন।’’ তিনি জানান, বিডিও পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলেও ভবিষ্যতে তিনি পদত্যাগ করবেনই।

এ ব্যাপারে প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তবে দলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাক বলেন, ‘‘আইনুল হক শারীরিক ভাবে অসুস্থ। দীর্ঘদিন আগেই উনি জানিয়েছিলেন, উনি আর প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে পারছেন না।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সাড়ে ৪ বছর ধরে বোর্ড চালানোর পর কেন ওঁর মনে হল যে, গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি হয়েছে?’’ এর প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না বলেই দাবি করেছেন প্রদীপ।

Advertisement

বিজেপির তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়িকা মালতী রাভা রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রধানের মতো উপপ্রধান লুটেপুটে খেতে পারেননি বলেই এখন সরে যাচ্ছেন। এই ঘটনা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement