প্রতীকী ছবি।
দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ আগেই উঠেছিল তার গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই উদ্ধার হল ওই ছাত্রীর দেহ। রবিবার মালদহের হবিবপুর থানার আইহোডোঙায় ঘটনাটি ঘটেছে। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পরেই ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক নন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর ফোনে আপত্তিকর ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল নন্দনের বিরুদ্ধে। সে কথা জানতে পেরে নন্দনকে সতর্ক করেছিল ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। অভিযোগ, উল্টে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েই হুমকি দিয়ে এসেছেন গৃহশিক্ষক। পরিবারেরও দাবি, এর পরেই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্রী। রবিবার বিকেলে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের খবর এলাকা ছড়িয়ে পড়তেই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, নন্দন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। এই গন্ডগোলের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় নন্দনকে।