n আয়োজন: আজ পুরসভার ভোট গণনা। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে গণনা।
গণনা নির্বিঘ্নে হবে তো! আশঙ্কার একটা চোরাস্রোত যেন। বিরোধী দলগুলি তো বটেই, রাজনীতি সচেতন শহরবাসীদের একাংশেও এই আশঙ্কা কিছুটা থেকেই যাচ্ছে।
সিপিএমের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে প্রশাসন থেকে গণনার এজেন্টদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল তাতে যথাযথ সই ছিল না। এজেন্টদের ছবিও পরিচয়পত্রে ছিল না। তাদের দাবি, প্রতিবাদ জানানোর পরে এ দিন বিকেল থেকে যথাযথ পরিচয়পত্র বিলি করা হয়েছে। যদিও গণনা কেন্দ্রের ঘরগুলিতে সব এজেন্টদের একসঙ্গে থাকা সম্ভব কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। ঘরগুলি খুব ছোট বলে এজেন্টদের দাঁড়ানোর জায়গা যথেষ্ট নেই। সেই কারণেই বিরোধীরা গণনা নিয়ে নানা আশঙ্কায় ভুগছে। বিরোধীদের আশঙ্কা, গণনা শেষের আগেই বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হতে পারে। এজেন্টদের ঢুকতে নাও দেওয়া হতে পারে। বিরোধী প্রার্থীদের আশঙ্কা, জিতলেও জয়ের শংসাপত্র আটকে রাখা হতে পারে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, গণনা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করা হয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রের সব ঘরে সিসি ক্যামেরা থাকবে। গণনার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হবে।
প্রশাসনের আশ্বাসে ভরসা নেই বিরোধীদের। জেলা বিজেপির মুখপাত্র ধীরাজমোহন ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটের দিন যা দেখেছি, তার পর আমাদের আর কোনও আস্থা নেই। হয়তো গণনার দিন বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হতে পারে। সব বিরোধীরা যদি একসঙ্গে প্রতিবাদ করতে চায়, তা হলে আমরাও রাজি।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন ‘‘আমরা খুবই আশঙ্কিত। পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে হবে।’’
পুরভোটে জলপাইগুড়িতে একাধিক ছাপ্পা, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। যার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বিশিষ্টজনেরা। ভোটের পরে এখন আশঙ্কা গণনা নিয়েও। জলপাইগুড়ির এক সিপিএম প্রার্থী শমীক ভৌমিক বলেন, ‘‘প্রথমে তো সিল সই ছাড়া ফাঁকা পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছিল। সেই পরিচয়পত্র প্রশাসনই আটকে দিত। চক্রান্ত চলছে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘‘বিরোধীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হবে। তাই ভিত্তিহীন আশঙ্কার কথা বলছে। নির্বিঘ্নে গণনা হবে। বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হব।’’