আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃত শিক্ষককে। —নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষক ও ছাত্রের বাড়ি পাশাপাশি। সেই ‘সুযোগ’ নিয়ে ছাত্রের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন শিক্ষক! ছাত্র-পত্নীর করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের শিক্ষক প্রবীর বর্মণকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীর শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা। বয়েজ হাই স্কুলে তিনি বাংলা পড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনতাপাড়ার বাসিন্দা এক তরুণী। ওই তরুণীর দাবি, বছর তিনেক আগে প্রবীরের প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ঘটনাচক্রে তরুণীর স্বামী প্রবীরেরই প্রাক্তন ছাত্র। পুলিশে করা অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তিনি দেখতেন, প্রবীর লাগাতার তাঁদের সংসারে ‘নাক গলাচ্ছেন’। শুধু তাই নয়, তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে প্রবীরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও তরুণীর অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। এর পিছনেও প্রবীরের মদত রয়েছে বলে তরুণীর অভিযোগ। এ নিয়ে তিনি শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তরুণী।
ওই তরুণীর দাবি, পুলিশ তাঁর অভিযোগ পেয়ে তেমন ভাবে সাহায্য করেনি। উল্টে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রবীর কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী এবং তাঁর বোনকে রাস্তায় আটকে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তরুণীর দাবি, তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁদের ভয় দেখান প্রবীর। এর পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন প্রধাননগর থানায়।
তরুণীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধাননগর থানার পুলিশ বুধবার রাতে গ্রেফতার করে প্রবীরকে। শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি ঘটনার কথা শুনেছি। পরিচালন সমিতি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’