শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের, তদন্তের খোঁজখবর নিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষও। —নিজস্ব চিত্র।
ধর্ষণের ভিডিয়ো করে তরুণীকে ভয় দেখিয়ে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হুগলির কোন্নগরে। পরে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ওই ঘটনায় চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পয়লা মার্চ এলাকারই এক যুবক এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এমনকি সেই সময়ের ভিডিয়োও করা হয়। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ওই যুবকের বন্ধুরাও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় তরুণীর পরিবার শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ করে। অভিযুক্ত পি শিবা রাও, ভি হরিশ, বি বিবেক এবং আকাশ জানা নামে এলাকার চার যুবককে আটক করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় গিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনারের কথায়, ‘‘বুধবার রাতে একটি মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। আমরা নির্দিষ্ট মামলা করেছি। চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভিডিয়োর কথা শুনেছি। তবে এখনও তা হাতে পাইনি।’’
ধর্ষণে অভিযুক্ত চার যুবক। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কোন্নগর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে বেবি ওই বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের কথায়, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। গতকাল অভিযোগ পাওয়ার পর খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এতে আমাদের কোনও হাত নেই। আইন আইনের পথে চলবে।’’
তৃণমূল নেতা স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘পুলিশ এ ব্যাপারে সক্রিয়। যারা অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে দলকে বদনাম করতে। যারা অপরাধ করবে, তারা কেউ ছাড়া পাবে না। তা সে যে দলেরই হোক। বেহালার ঘটনায় যুব তৃণমূল নেতাও গ্রেফতার হয়েছে।’’