(বাঁ দিকে) তৃণমূল নেতা বাপি রায়। লিপি রায় বিশ্বাস (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূল নেতা বাপি রায়ের খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর এলাকা থেকে অনিকেত সরকার নামে ওই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বাপি রায়ের স্ত্রী লিপি বিশ্বাস রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অনিকেতকে ধরা হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়ি দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর এলাকায়। অনিকেতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। যদিও আদালত তাঁর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল জানান, নিহতের স্ত্রী দাবি করেছেন, বাপির সঙ্গে দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অভিযুক্তের। দু’জনের মধ্যে অনেক টাকার লেনদেন ছিল।
শনিবার ইসলামপুর শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা বাপি রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় আর এক তৃণমূল নেতা মহম্মদ সাজ্জাদ। ছিলেন বেশ কয়েক জন তৃণমূল কর্মীও। ওই সময়ে নয়-দশ জনের একটি দল বাপিদের ঘিরে ধরে তাঁদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বাপি ও সাজ্জাদ, দুই তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হন। সেখানে বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাপির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক কারণেই এই খুন। বাপির স্ত্রী লিপি সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘গুলিতে গুলিতে ওকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে।’’ লিপি জানান, শনিবার বিকেলে কেউ ফোন করে ডেকেছিলেন। শুনেছিলেন, দলের (তৃণমূল) অনেকে ছিলেন। বৈঠক হচ্ছিল। হঠাৎ ফোন পান স্বামীকে গুলি করা হয়েছে।