মুদ্রা: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক আনা। নিজস্ব চিত্র।
হলদিবাড়িতে উদ্ধার হওয়া বাক্স রহস্যের জট খুলল বৃহস্পতিবার। ২৬ জুলাই রহস্যময় বাক্সটি উদ্ধার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। উদ্ধারের পর থেকেই বাক্সটিকে ঘিরে শুরু হয় নানা জল্পনা। ১৪ দিনের মাথায় বাক্স রহস্যের জট খোলায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল পুলিশ।
বাক্স রহস্যের উপর থেকে পর্দা তোলার জন্য বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে হলদিবাড়ি এসে পৌঁছয় দুই সদস্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। মেখলিগঞ্জ থেকে আসেন এসডিপিও সিদ্ধার্থ দর্জি। বেলা দেড়টা নাগাদ হলদিবাড়ি থানায় শুরু হয় রহস্যময় বাক্সের সত্য উৎঘাটনের প্রক্রিয়া। ফাঁকা করে দেওয়া হয় থানা চত্বর। পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টণীতে খোলা হয় বক্সটি। বাক্সের ভিতরে থাকা কালো সেলোটেপে মোড়ানো পাত্রটি খুলতেই হঠাৎই আগুন জ্বলে ওঠে। তাই দেখে হইচই পড়ে যায়।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অভয়ে শুরু হয় পাত্রটি খোলার কাজ। মিথেন গ্যাসের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষে দেখা যায় পাত্রটি আসলে একটি টিফিন বাক্স। তার ভিতরেই রয়েছে একটি খুব পুরোনো পয়সা। সেই পয়সাটি রাসায়নিক দিয়ে পরিষ্কার করার পরে বোঝা যায়, সেটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলের এক আনা পয়সা। পয়সাটি ১৮৩৯ সালের। পয়সার পিছনে রয়েছে বট গাছের ছাপ। সামনে লেখা এক আনা।
বাক্সটি গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে হলদিবাড়ি কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে একটি গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সামিউল ইসলাম সায়ন নামে বাংলাদেশী নাগরিক সহ গাড়ি চালককে আটক করে পুলিশ। ২৭ জুলাই সেই রহস্যময় বক্সটি কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টণীতে ঘিরে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ধৃত দুই ব্যক্তি হলদিবাড়ি থানাতেই রয়েছে। এসডিপিও বলেন, ‘‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি মুদ্রা পাওয়া গেছে। সেটি আসল না নকল তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে।’’