north bengal university

মেয়াদ ফুরোচ্ছে ওমপ্রকাশের,  সঙ্কট কাটাতে কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মাসের প্রথম দিন ফিনান্স অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট আরও এক আধিকারিক চেকে সই করলে, তা ব্যাঙ্কে জমা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ০৯:৩০
Share:

মেয়াদ শেষ হচ্ছে ওমপ্রকাশ মিশ্রর। — ফাইল চিত্র।

আর মাত্র দু’দিন। ২০ মে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের দু’মাসের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। একই দিনে মেয়াদ শেষ হচ্ছে অস্থায়ী ফিনান্স অফিসার এবং রেজিস্ট্রারেরও।

Advertisement

উপাচার্য ছাড়া, কেউ ফিনান্স অফিসারের দায়িত্ব কাউকে দিতে পারবেন না। অন্য দিকে, মেয়াদ ফুরোচ্ছে বলে বর্তমান উপাচার্য তাঁর সময়সীমার বাইরে কাউকে দায়িত্ব দিলে প্রশ্ন উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কর্মসমিতিতে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ‘অ্যাজেন্ডা’ রাখা হয়েছে।

আগামী কাল, ১৯ মে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। আচার্যের দফতর থেকে নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ না করা পর্যন্ত যাতে সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে এখন কর্মসমিতির বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন শিক্ষক, কর্মীদের অনেকে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও মাসের প্রথম দিন ফিনান্স অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট আরও এক আধিকারিক চেকে সই করলে, তা ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। তা হলেই শিক্ষক-কর্মীদের বেতন হয়। ফিনান্স অফিসার না থাকলে, বেতন আটকে যাবে। কোনও রকম খরচের টাকা সরবরাহ করা যাবে না। এর আগে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একটি হস্টেলের খরচ না দিতে পারায় হস্টেল বন্ধের নোটিস দিতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। পরে, পড়ুয়ারা ভাতের দাবিতে আন্দোলনে নামলে হইচই পড়ে। বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষক, কর্মীদের সংগঠন এগিয়ে আসে। তাদের সাহায্যে হস্টেল চালু রাখা হয়। অস্থায়ী উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ‘‘কর্মসমিতির বৈঠকে বিশেষ ‘অ্যাজেন্ডা’ আনা হয়েছে যাতে উপাচার্যহীন অবস্থায় কিছু দিন থাকলেও, জটিল পরিস্থিতি না হয়। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’’

নতুন উপাচার্য নিয়োগের কোনও নির্দেশিকা আচার্যের দফতর বা স্বাস্থ্য ভবন থেকে আসেনি। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য নতুন করে ‘সার্চ কমিটি’র গঠনও হয়নি। তাতে এই পরিস্থিতি ফের কাকে অস্থায়ী উপাচার্য করা হবে এবং তা কবে করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অর্ধেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘এর আগেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আচার্য বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই সচেতন রয়েছেন। তিনি প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবেন বলেই আমরা আশাবাদী।’’

এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, তাঁরাও চান আচার্যের দফতর থেকে দ্রুত প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আগের মতো পরিস্থিতি যেন না তৈরি হয়। তাতে পড়ুয়া, শিক্ষক-সহ সব পক্ষকে বিপাকে পড়তে হবে। বার বার এই পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের পরিবেশ নষ্ট হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement