পুজোয় শহর পরিষ্কার নিয়ে তোপ পুরসভাকে

পুজোর সময় শিলিগুড়ি শহর সাফসুতো রাখতে পুর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। পুজোর আগে বিশেষত মহালয়ার মধ্যে ঘরদোর পরিষ্কার করেন বাসিন্দারা। সেই আবর্জনা সাফ করতে পুরসভার তরফে প্রতিবছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২৩
Share:

পুজোর সময় শিলিগুড়ি শহর সাফসুতো রাখতে পুর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার অভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। পুজোর আগে বিশেষত মহালয়ার মধ্যে ঘরদোর পরিষ্কার করেন বাসিন্দারা। সেই আবর্জনা সাফ করতে পুরসভার তরফে প্রতিবছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে তার পর বাড়ির বাইরে অতিরিক্ত আবর্জনা ফেলা না হয়। মাইকিং করে তা জানানোও হয় শহরবাসীকে। এ বছর সে সব কোনও পরিকল্পনা নেই বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

Advertisement

সেই সঙ্গে পুজোর দিনগুলিতে শহর সাফ রাখতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে তা এখনও তাঁদের না জানানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। নিজেদের ওয়ার্ড পুজোর সময় সাফ রাখতে তাঁরা নিজেদের মতো পরিকল্পনা নিয়েছেন।

পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিরোধীদের ওই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সমস্ত পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে। রবিবার শহর জুড়ে সাফাই অভিযানে নামা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলিকে সে জন্য টাকাও দেওয়া হয়েছিল। পুজোর সময় সাফাই বিভাগের কাজের জন্য বাড়তি লোকও নেওয়া হচ্ছে।’’ বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ এবং আশেপাশের এলাকা ঠিক মতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে কি না মেয়র পারিষদরা এবং কাউন্সিলররাও ঘুরে দেখবেন।

Advertisement

পুরসভার সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্তর দাবি, ৩ অক্টোবরের মধ্যে বাড়ির আবর্জনা সাফ করার কথা বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে। বাড়ির বাইরে তা ফেলে দিলে পুরসভার সাফাইকর্মীরাই তা সংগ্রহ করে নেবেন। সে ব্যাপারে স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে শহর পরিষ্কার রাখতে সাফাই বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বরোগুলিতে টিম থাকবে। পুরসভার প্রধান অফিসেও কেন্দ্রীয় ভাবে একটি দল থাকবে। বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজন মতো বাড়তি লোক নেওয়া হয়েছে।’’ পুজোর সময় আবর্জনা বেশি হয় বলে বর্জ্য ফেলার ট্রিপার গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।

বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের অভিযোগ, ‘‘পুরসভার তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ কিছু জানাননি। ওয়ার্ডে ব্লিচিং, চুন পর্যাপ্ত মিলছে না।’’ তৃণমুল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল জানান, কোন দিনের মধ্যে বাড়ির আবর্জনা সাফ করে ফেলকে হবে তা মাইকিং করা হয়নি। কাউন্সিলররাই সে বিষয়ে জানেন না। পুজোর এই সময় পানীয় জল সরবরাহ, আলোর ব্যবস্থা, সাফাই পরিষেবা যথাযথ রাখতে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল।

সাফাই বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিসর্জনের দিন ঘাটেও বিশেষ পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাট এবং বিসর্জনের পর নদী সাফ করার ব্যবস্থা থাকবে। ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো জানান, দুর্গাপুজো থেকে কালী পুজোর মধ্যে শহরের ওয়ার্ডগুলিতে বিভিন্ন মোড়-সহ নির্দিষ্ট জায়গা বেছে অন্তত ৪০০ নতুন আলো লাগানোর পরিকল্পনা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement