অসচেতন: মাস্ক ছাড়াই মালদহ মেডিক্যালের বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের ভিড়। ছবি: স্বরূপ সাহা
এক দিকে, পিপিই কিট মজুত থেকে আইসোলেশন শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে গ্রামীণ হাসপাতালে। অন্য দিকে, মাস্ক ছাড়ায় বেপরোয়া ভাবে পথে-ঘাটে ঘুরছেন একাংশ মানুষ। রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের সঙ্গে জেলার যোগ মিলতেই বৃহস্পতিবার এমনই ছবি দেখা গেল মালদহে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনার মতো ওমিক্রন মোকাবিলাতেও প্রস্তুত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীরা। তবে সচেতন হয়ে বাড়ির বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও বাড়াতে হবে পুলিশকে, দাবি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। এক কর্তা বলেন, “মানুষ সচেতন না হলে কড়া হতে হবে পুলিশকেই।”
বুধবারই প্রকাশ্যে আসে রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের আবুধাবি ফেরত সাত বছরের বালকের কথা। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও ওই বালককে নিয়ে পরিবার ছিলেন কালিয়াচকের এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপরেই হইচই পড়ে যায় জেলায়। ওই বালক ও তার মা, বাবা, দিদিকে ভর্তি করা হয় মেডিক্যালের কোভিড বিভাগে। এ দিন চার জনেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের, জানিয়েছেন মেডিক্যালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা। তিনি বলেন, “আরটিপিসিআর টেস্টে বালক ও তার পরিবারের সমস্ত সদস্যরই রিপোর্ট নেগেটিভ। তাঁদের ছুটি দিয়ে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
কোভিড হাসপাতাল ফের এদিন রোগী শূন্য হলেও ৩০০টি শয্যায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুপার। তিনি বলেন, “পরিকাঠামো আমাদের যেমন রয়েছে এখন তেমনই থাকবে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, হাস পরিস্কার রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একই সঙ্গে নিতে হবে টিকার দুটি ডোজ়ই।” মেডিক্যালের মতো প্রতিটি গ্রামীণ হাসপাতালেও আইসোলেশন শয্যা, পিপিই কিট মজুত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক। তিনি বলেন, “একাধিক কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও পরিকাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে পথে-ঘাটে এখন মাস্কহীনদের ভিড় বাড়ছে। এখন জেলায় করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী। পুলিশের অভিযানও থিতু হয়েছে জেলায়। তাতেই বেপরোয়া সাধারণ মানুষের একাংশ। যদিও অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।