নিতিন গডকরী।
যে হেলিকপ্টারে চেপে গুয়াহাটি থেকে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সেটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ‘বিকল’ ছিল। যে কারণেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শিলিগুড়ি নেমে তেমন বিশ্রামের সুযোগ না হওয়ায় মঞ্চে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমনটাই জানালেন স্বয়ং নিতিন গডকরীই।
শিলিগুড়ির শিবমন্দির থেকে সেবকের ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত দীর্ঘ একটি রাস্তার শিলান্যাস করতে এসেছিলেন নিতিন। দার্জিলিং মোড়ের কাছে দাগাপুর মাঠে চলছিল সেই অনুষ্ঠান। সেখানে মঞ্চে ওঠার কিছু ক্ষণ পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান। নিতিনকে গ্রিন রুমে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা নিতিনকে গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পরের অনুষ্ঠানগুলিতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এর পর সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে নিতিন জানান, গুয়াহাটিতে তিন দিনের সফরে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি ছিল। তার পরেই হেলিকপ্টারে করে উত্তরবঙ্গে চলে এসেছেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘হেলিকপ্টারের এসি কাজ করছিল না। ওই জন্যই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর পর অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। রক্তচাপ কমে যায়। তবে ওষুধ খাওয়ার পর সুস্থ আছি। এখন কোনও অসুবিধে নেই। এখান থেকেই নাগপুরের উদ্দেশে রওনা দেব।’’
বালাসন সেতু থেকে সেবক পর্যন্ত নতুন সড়ক তৈরির ঘোষণার পাশাপাশি নিতিন জানান, সেবকের সেনা ছাউনির পর থেকে তিস্তার করোনেশন সেতু পর্যন্তও নতুন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। মন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘তৈরি হবে চার রাস্তার সেতুও।’’ ইংরেজ আমলে তৈরি করোনেশন সেতুর উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান নিতিন। তাঁর কথায়, ‘‘করোনেশন সেতুকে হেরিটেজ হিসেবে রাখা হবে। এ ছাড়াও সিকিম ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ আরও উন্নত করতেই এই সিদ্ধান্ত।’’