পরিদর্শন: শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম ঘুরে দেখলেন শিলিগুড়ির নতুন মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
শিলিগুড়িতে ভলিবল অ্যাকাডেমি তৈরিতে মাঠের সমস্যার কথা মহকুমা শাসককে জানাল দার্জিলিং জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সাইয়ের পরিত্যক্ত ঘরগুলির সামনে একটি মাঠ রয়েছে। সেখানে ক্রীড়া পরিষদের ভলিবল হয়। প্রত্যেক বছর বিভিন্ন মেলার সময় সেই মাঠের উপর স্টল বসে। ফলে মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। সেই মাঠেই কোর্ট তৈরি করে ভলিবল অ্যাকাডেমি করার কথা জানিয়েছেন মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আধিকারিকরা।
শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির নতুন মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায়। তিনি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের আধিকারিকদের সঙ্গে সুমস্ত স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। সাইয়ের পরিত্যক্ত ঘর, স্টেডিয়ামের পানীয় জলের ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর ক্রীড়াদীপ্তি ঘরেও যান তিনি। সেখানে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের জার্সি, ব্যাট, বল ছাড়াও অনেক সমগ্রী রয়েছে। সেগুলিকে ভাল করে রাখার ব্যবস্থার কথা জানান।
মহকুমা শাসক বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যাগুলি মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আলোচনা করে কোথায় কী ভাবে কাজ হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে নতুন করে তৈরি করতে রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে ৫০ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এখনও কাজ শুরু হয়নি। মাঠের পরিস্থিতিও ভাল নয়। ডুরান্ড কাপের খেলা হওয়ার কথা ছিল। ক্রীড়া পরিষদ মাঠের অবস্থা জানিয়েছিল ডুরান্ড কাপের আধিকারিকদের। পরে বাতিল হয়েছিল খেলা। ক্রীড়া প্রেমীরা সে বিষয় নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন। স্টেডিয়ামে সাইয়ের পরিত্যক্ত ক্যাম্পে সমাজবিরোধীদের আড্ডা বসে বলে অভিযোগ। সাইয়ের প্রয়োজনীয় সামগ্রীয় চুরি হচ্ছে। সেই ঘরগুলি ক্রীড়া পরিষদ চেয়েছিল। দেওয়া হয়নি বলে ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে বলা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলিতে জঙ্গল ধরেছে। এ দিন সেই ঘরগুলি নিয়ে মহকুমা শাসক আলোচনার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানান মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সহ সম্পাদক মনোজ বার্মা। তিনি বলেন, ‘‘মাঠে পানীয় জলের সমস্যা, শৌচালয়, স্টেডিয়াম চুয়ে জল পড়া ছাড়াও অনেক সমগ্রী স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন মহকুমাশাসক। তিনি সমস্যাগুলি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।’’
জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে অমল আচার্য জানান, তাঁরা ভলিবল অ্যাকাডেমি করতে চায়। সাইয়ের পরিত্যক্ত ক্যাম্পের সামনের মাঠটি যাতে তাঁদের দেওয়া হয় তা মহকুমা শাসককে বলা হয়েছে। তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম কমিটির সচিব মহকুমা শাসক। দেখা যাক মাঠের হাল ফেরাতে তিনি যদি কিছু করেন।’’