Sikkim

বিমানে রাজ্যের আগে দিল্লির সঙ্গে জুড়ছে সিকিম

দেশের দুই মহানগরীর সঙ্গে সঙ্গে বিমান মানচিত্র সিকিম জুড়ে গেলে এই প্রান্ত থেকে দেশ ও বিদেশে যাতায়াত সহজ হবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রায় দেড় বন্ধ থাকার পর আগামী ২৮ জানুয়ারি কলকাতার সঙ্গে নতুন করে বিমান মানচিত্রে জোড়ার কথা ছিল সিকিমের। শুক্রবার বদল হয়েছে পরিকল্পনা। নতুন খবর, কলকাতার সঙ্গে বিমান চালুর পাঁচদিন আগে, ২৩ জানুয়ারি সিকিমের একমাত্র পাকিয়ং বিমানবন্দর ফের চালু হয়ে যাচ্ছে। কলকাতার আগে সিকিমের সঙ্গে জুড়ছে দিল্লি। ২৩ তারিখ থেকে দিল্লির নতুন রুটে বিমান পরিষেবা দিয়েই বিমানবন্দরটি চালু হচ্ছে। তার পরে ২৮ জানুয়ারি চালু হবে পাকিয়ং-কলকাতা বিমান।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান প্রকল্পের আওতায় এই বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে। বমবার্ডিয়ার-৪০০ বিমান দিয়েই দিল্লি, কলকাতার সঙ্গে সিকিমকে জুড়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার বক্তব্য, বহু সিকিমবাসী দেশের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, কানাডার মতো দেশে থাকেন। দেশের দুই মহানগরীর সঙ্গে সঙ্গে বিমান মানচিত্র সিকিম জুড়ে গেলে এই প্রান্ত থেকে দেশ ও বিদেশে যাতায়াত সহজ হবে।

পাকিয়ং বিমানবন্দরের অধিকর্তা রামতনু সাহা বলেন, ‘‘দিল্লি এবং কলকাতা দুটি শহরের সঙ্গে সরাসরি সিকিমের যোগাযোগের মধ্যে দিয়েই পাকিয়ং বিমানবন্দর চালু হচ্ছে। প্রযুক্তির সাহায্যে কম দৃশ্যমানতার সমস্যা কাটানো গিয়েছে।’’ দু’টি শহরের পর দেশের আরও শহরের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ তৈরি হবে বলে অধিকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিয়ং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালের জুনে বিমানবন্দরটিতে কম দৃশ্যমানতার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছে। গত নভেম্বর মাসের শুরুতে পাকিয়ং বিমানবন্দরে দেড় বছর পর বাণিজ্যিক বিমানের নতুন প্রযুক্তিতে ট্রায়াল দেওয়া হয়। প্রযুক্তির বদল ঘটিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল সফল হওয়ায় তা ছাড়পত্রের জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। আপাতত দিল্লি ও কলকাতা রুটের ছাড়পত্র মিলেছে।

বিমানবন্দর সূত্রের খবব, পাহাড়ে দুপুরের পর থেকে আলো কমে আসে। এতে দৃশ্যমানতার সমস্যা দেখা দেয়। আলোর ব্যবহার করা হলেও সমস্যা মিটছিল না। রানওযের পশ্চিম দিকের এলাকাও বড় করার কাজ শেষ হলেও সেখানেও দৃশ্যমানতা সমস্যা ছিল। পাইলটেরা নেতিবাচক রিপোর্ট দিচ্ছিলেন। তাতে বিমান চলাচল যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত দেড় বছরে পরপর বৈঠক, পর্যালোচনার পর এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার অফিসারেরা বিমান ওঠানামার জন্য রিকোয়ার্ড নেভিগেশন পারফরম্যান্স বা আরএনপি পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement