মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আগুনে ভস্মীভূত হলং বনবাংলোকে পুনরায় তৈরি করতে নবান্নে নকশা জমা পড়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, গোটা বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন দফতরের কর্তারা।
যদিও নবান্নে জমা পড়া নকশা অনুযায়ী হলং বনবাংলোকে পুনরায় কাঠ দিয়ে তৈরি করা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে বন দফতরের শীর্ষ কর্তারাও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাননি। তবে নবান্নে এ বিষয়ে একাধিক নকশা-সহ প্রস্তাব জমা পড়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বন দফতরের একটি সূত্রের দাবি, তার মধ্যে কাঠের বাড়ির প্রস্তাবও রয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন বন দফতরের শীর্ষ কর্তারা।
রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন, “জলদাপাড়ার হলং বাংলো ঐতিহ্যবাহী একটি বাংলো। সেটা পুনরায় গড়তে আমরা আমাদের দফতরের তরফে প্রস্তাব জমা করেছি। এ বার আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি।” উত্তরবঙ্গের বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “হলং বাংলো নিয়ে নবান্নে কী নকশা বা প্রস্তাব জমা পড়েছে তা জানা নেই। আমাদের কাছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য সরকারি ভাবে আসেনি। তবে হলং বাংলোকে পুনরায় তৈরি করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেই জানি।”
চলতি বছর ১৮ জুন রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বনবাংলোয়। খবর পেয়ে আশপাশের একাধিক জায়গা থেকে দমকল বাহিনী সেখানে যায়। কিন্তু দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছানোর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু ঐতিহ্যের সাক্ষী ওই বন বাংলোটি। যে ঘটনায় বিস্তর হইচই শুরু হয়। মূলত শর্ট সার্কিট থকেই হলং বনবাংলোয় আগুনের ঘটনা ঘটে বলে বন দফতরের তরফে জানানো হয়। দাবি ওঠে এই বনবাংলো পুনরায় গড়ে তোলার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন দফতরের উত্তরবঙ্গের আধিকারিকদের একাংশের কথায়, নবান্নে এই বন বাংলো নতুন করে তৈরি করতে কী প্রস্তাব গিয়েছে জানা নেই। এই মুহূর্তে আবার কাঠ দিয়ে সেই বাংলো তৈরি করা সম্ভব কি না, সে বিষয়েও তাঁরা ধন্দে। তবে হলং বন বাংলো নতুন করে তৈরির অপেক্ষায় তাঁরাও রয়েছেন। বর্ষার পরে ফের জঙ্গল খুলতেই পর্যটকদের যাঁরা জলদাপাড়ায় ঘুরতে আসছেন, তাঁদের অনেকেও বন আধিকারিকদের কাছে সেই দাবি করছেন। পুড়ে যাওয়া হলং বনবাংলোর জায়গাটাও দেখতেও যাচ্ছেন তাঁরা।