উত্তরপ্রদেশে আইনজীবীকে গাড়ির চাকায় পিষে হত্যা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বোনের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়ার ‘অপরাধে’ আইনজীবীকে খুন করলেন ভগ্নিপতি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, আইনজীবীকে তিনি প্রথমে অপহরণ করেছিলেন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তার পর তাঁকে রাস্তার উপর ফেলে গাড়ির চাকায় পিষে দেন তাঁর মাথা। ঘটনাস্থলেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়।
উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার ঘটনা। মৃতের নাম চন্দ্রশেখর যাদব (৫০)। তাঁর বোন সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন। সেই মামলাই লড়ছিলেন চন্দ্রশেখর। ভগ্নিপতির কাছ থেকে বোনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা তিনি দাবি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই আক্রোশ থেকে এই হত্যাকাণ্ড।
অভিযুক্তের নাম রঞ্জিত যাদব। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কাপতানগঞ্জে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। সেখান থেকে মোটরবাইকে ফেরার সময় তাঁকে অপহরণ করা হয়। চার চাকার একটি গাড়িতে আইনজীবীকে তুলে নেন রঞ্জিত। তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তার পর ওয়ালটারগঞ্জ এলাকায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন অভিযুক্ত। চার চাকার গাড়ি তুলে দেন তাঁর মাথার উপর।
বস্তি জেলার পুলিশ সুপার অভিনন্দন জানিয়েছেন, রঞ্জিত একা নন, তাঁর সঙ্গে সন্দীপ নামের এক যুবকও ছিলেন। দু’জন মিলে আইনজীবীকে অপহরণ করে খুন করেছেন তাঁরা। ঘটনার পরের দিনই রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অপর অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আইনজীবীর খুনের খবর পেয়ে বস্তির আদালতে বিক্ষোভ দেখান তাঁর সহকর্মীরা। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তাঁরা। যে হাসপাতালে আইনজীবীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, রবিবার সকালে তার বাইরে জড়ো হয়ে অন্য আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।