গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে উত্তরপত্র উধাও কাণ্ডে রহস্য বেড়েই চলেছে। ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের একাংশের বক্তব্য, অন্যান্য বিভাগের প্রথম সিমেস্টারের ফল যখন অগস্টে প্রকাশিত হচ্ছে, তখন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে চলছে শিক্ষকদের কাছ থেকে খাতা জমা নেওয়ার পালা। সেটা চলেছে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। খোদ বিভাগীয় প্রধান বিবেকানন্দ মণ্ডল নিজেই খাতা জমা দিয়েছেন ৪ সেপ্টেম্বর। এই দেরি রহস্যের পাশাপাশি উত্তরপত্র উধাও কাণ্ড নিয়ে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশ। ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য স্বাগত সেন। তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে বিশেষ একটি পত্রের উত্তরপত্র উধাও হয়ে যাওয়ার পরে দোষারোপের পালা চলছে বিভাগীয় প্রধান বিবেকানন্দ মণ্ডল এবং শিক্ষক চন্দন বর্মণের মধ্যে। বিবেকানন্দ বলেন, “চন্দনবাবু ওই উত্তরপত্র বিভাগে জমায় দেননি।” চন্দন বর্মণ যদিও বলেছেন, “চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর হাতে প্যাকেটে করে উত্তরপত্র জমা দিয়েছিলাম।” চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পরিতোষ রায় বলেন, “উনি আমাকে পাঁচটি প্যাকেট দিয়েছিলেন। সেগুলি আমি বিভাগে রেখে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে উধাও হওয়া প্যাকেট ছিল কি না, জানি না।”
কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, অন্যান্য বিভাগে অগস্টের শেষ সপ্তাহে ফল প্রকাশিত হচ্ছে। আর উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলছে খাতা দেখা। সঠিক সময়ে খাতা জমা না পড়ায় কেন বিভাগীয় প্রধান শিক্ষকদের চাপ দেননি, সেই প্রশ্নও উঠেছে। ওই বিভাগের শিক্ষক দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কয়েক জন শিক্ষকের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শিবিরে ছিলেন বিবেকানন্দ। সুকান্তের সঙ্গেও এখন তাঁর সখ্য রয়েছে। যদিও বিবেকানন্দ বলেন, “উত্তরপত্র উধাও কাণ্ডে বিভাগেরই কেউ অন্তর্ঘাত করে থাকতে পারে। তদন্ত হলে সমস্ত ঘটনা সামনে আসবে।”
সুকান্ত বলেন, “উত্তরপত্র উধাও-এর বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার যা খাতা দেখার কথা ছিল তা দেখে জমা দিয়েছি।”