বাগানে তদন্ত। নিজস্ব ও ফাইল চিত্র
নির্জন আমবাগানে অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার ঝলসানো দেহ উদ্ধারের খবর ছড়াতেই সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই ভিড়ে মিশে পুলিশের কাজকর্ম দেখছিলেন ইংরেজবাজারের ধানতলা-কাণ্ডে গ্রেফতার ছোটন ঘোষও। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় ছোটন এমনই জানিয়েছেন। দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েছিল তিনি।
ওই ঘটনায় গ্রামেরই যুবক গ্রেফতার হওয়ায় হতবাক সাহাজালালপুর। একই সঙ্গে খুনের ঘটনায় ছেলে ধরা পরায় বাক্রুদ্ধ ছোটনের মা, বোন, অন্য পরিজনেরা। গ্রামের ছেলে হলেও দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি চান গ্রামবাসীরা। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, ‘‘বাইরের কোনও লোকের পক্ষে নির্জন ওই আমবাগানের খোঁজ পাওয়াসহজে সম্ভব নয়। তাই ঘটনায় আশপাশেরই কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ ছিলই।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধানতলা গ্রামের ওই আমবাগান থেকে ছোটনের বাড়ি ১ কিলোমিটার দূরে। ওই বাগানের মধ্যে দিয়েই ছোটনের বাড়িতে যাতায়াত করা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ছোটনের সঙ্গে দেখা করতে একাধিক বার শিলিগুড়ি থেকে ওই তরুণী মালদহে এসেছিলেন। তাঁদের এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি ছিল পরিবারের লোকেদের।
তবে ওই তরুণীকে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবারের লোকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই তরুণীকে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে অশান্তি করতেন ছোটন। তাই তাঁকে কী ভাবে ছোটন খুন করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ছড়িয়েছে। ধৃতের মা বলেন, ‘‘ছেলে ছোট থেকেই মিশুকে স্বভাবের। ও কাউকে খুন করতে পারে ভাবতেই পারি না। ওই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে অশান্তি করত। তাঁকেই কেন ও খুন করতে যাবে?”
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই তরুণীর সঙ্গে ছোটনের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। ওই সম্পর্কের মধ্যে আরও কেউ রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। কারণ তরুণী হাতের উল্কিতে ‘জে প্লাস এম’ লেখা ছিল। তাঁর প্রাক্তন স্বামীর নামের প্রথম অক্ষর ‘এস’। কিন্তু বাপন ওরফে ছোটনের নামের প্রথম অক্ষরে ‘এম’ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, সেই দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।