বচসা: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্ক শুরু হয় পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে প্রথম দিনেই ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়তে হল পুরকর্মীদের৷ সোমবার দিনবাজারে হানা দেন জলপাইগুড়ি পুরসভার কর্মীরা। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা শুরু করতেই ব্যবসায়ীদের একাংশ তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ৷ তবে পুলিশের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত বেশ কিছু দোকান থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ যদিও এ দিন কাউকে জরিমানা করা হয়নি৷
জলপাইগুড়ি শহরে এর আগে একাধিকবার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধের ঘোষণা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ গত ২২ জুন পুরসভার শাসক ও বিরোধীরা একসঙ্গে বৈঠকে বসে শহরে যে কোনও ধরনের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যাবহার বন্ধ ও শুয়োর পালন বন্ধ করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সাতদিন পর অভিযানে নামা হবে বলে প্রথমে জানানো হলেও পরবর্তীতে সেই দিন বাড়ানো হয়৷
গত কয়েক দিন ধরেই শহরকে প্লাস্টিক ও শুয়োর মুক্ত করা নিয়ে প্রচার চালানোর পর এ দিন প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুরসভা৷ প্রশাসনের এক কর্তা ও কোতোয়ালি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন পুরকর্মীরা হানা দেন দিনবাজারে৷ অভিযোগ, দোকান থেকে পুরকর্মীরা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা শুরু করতেই ব্যবসায়ীদের একাংশ বাধা দেন৷ পুরকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়৷ যদিও সেই বাধা ভেঙে পুলিশকে নিয়ে বেশ কিছু দোকান থেকে প্রায় ২৫ কেজি প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে পুরসভা৷ পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মহেশ রাজভর বলেন, ‘‘অভিযানের শুরুতে কিছু ব্যাবসায়ী আমাদের বাঁধা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি৷ সোমবার কাউকে জরিমানা করা হয়নি৷ এরপর থেকে জরিমানা শুরু হবে৷’’
দিনবাজারের ব্যবসায়ী সুমন দাসের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘৪০ মাইক্রনের বেশি ওজন রয়েছে এমন প্ল্যাস্টিকই আমরা ব্যাবহার করি৷ অথচ, পুরকর্মীরা এসে এ দিন জোর করে আমার দোকান থেকে সেই প্লাস্টিক তুলে নিয়ে গেল৷ এটা মানা যায় না৷’’ দিনবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবু চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরাও চাই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ হোক৷ কিন্তু সেই নিয়ম লাগু হোক ৪০ মাইক্রন ওজনের নীচের ক্যারিব্যাগের ওপর৷’’ মহেশবাবু অবশ্য বলেন, রাজ্য সরকারের যে নির্দেশ রয়েছে তাতে সব ধরনের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যাবহার বন্ধের কথা বলা রয়েছে৷ তাই এখানেও সেটা লাগু হবে৷