বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র।
মাথাভাঙা পুরসভার প্রধান হলেন লক্ষপতি প্রামাণিক এবং সহ-প্রধান হলেন বিশ্বজিৎ সাহা। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলেন মাথাভাঙা পুরসভার প্রধান। আর এই পুরবোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই ছড়াল উত্তেজনা। দলের নির্দেশ অমান্য করে বোর্ড গঠনের জন্য পৃথক পৃথক প্রধানের নাম প্রস্তাব হওয়ায় পুরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বুধবার কাউন্সিলর প্রবীর সরকার এবং বিশ্বজিৎ রায়ের নামও প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। আর এর ফলেই দলের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ে। ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে লক্ষপতি প্রামাণিক প্রধান নির্বাচিত হন। যদিও দলের উচ্চ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে লক্ষপতি প্রামাণিকের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। অপরদিকে বিশ্বজিতের নাম প্রস্তাব করার কারণে পুরসভার বাইরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
প্রবীর এই দিন জানান, তিনি বিশ্বজিতের নাম প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেন। কিন্তু ভোট না পাওয়ায় লক্ষপতি প্রধান হন। গোপনে ভোটের কথা থাকলেও প্রশাসন তা বজায় রাখেনি বলেও তাঁর অভিযোগ। মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার হাজরা বলেন, ‘‘দলের তরফ থেকে যাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তিনিই চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।’’
মাথাভাঙ্গা পুরসভার পাশাপাশি বুধবার কোচবিহার জেলার দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জ পুরসভার বোর্ডও গঠন করা হয়। দিনহাটা পুরসভার প্রধান হন গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী এবং সহ-প্রধান হন সাবির সাহা চৌধুরী। তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রধান হয়েছেন কৃষ্ণা ঈশ্বর এবং সহ-প্রধান হন তনু সেন।