নির্যাতিতার বাড়িতে খাট ভেঙে পড়ে গেলেন শুভেন্দু
এসেছিলেন ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। আতিথেয়তা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ওই পরিবার ঘরের একটি খাটে বসতেও দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়েই বিপত্তি। খাটে বসতেই তা ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে গেলেন শুভেন্দু। তবে তাঁর বিশেষ চোট লাগেনি। সঙ্গে সঙ্গেই ধরাধরি করে তোলা হয় তাঁকে।
শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান শুভেন্দু। ঘরে ঢুকে তিনি কিশোরীর বাবার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পর খাটে বসতেই বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই খাট। টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান শুভেন্দুও। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে ধরাধরি করে তোলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপির অন্য বিধায়ক ও নেতা-কর্মীরা।
ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন শুভেন্দু। কিছুটা ধাতস্থ হয়ে তিনি নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেন। আর্থিক সহায়তা দিয়ে মৃতার পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি। নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দুর সঙ্গে এসেছিলেন ১৭ জন বিধায়ক। পরিবারের সঙ্গে তাঁরা প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেন। এর পর বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখন চাপে পড়ে পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হয়েছে ঠিকই। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কিছু দিন পর অপরাধী আবার বেরিয়ে এসে হুমকি দেবে। তাই সিবিআই তদন্ত দরকার। আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, ওঁরা আমাদের প্রতি আস্থাশীল। আবার জলপাইগুড়ি আসব। সিবিআই নিয়ে কথা বলব।’’
প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকায় ধর্ষনের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তুলে হুমকির শিকার হয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। গত সোমবার শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।