Death

Death: তিন দিন ধরে ছেলের পচাগলা দেহ আটকে রইলেন নবতিপর মা, চাঞ্চল্য কোচবিহারে

প্রতিবেশীরা গত তিন দিন ধরে দু’জনকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। শনিবার ছায়ারানির বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে আসেন আত্মীয়রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৪৬
Share:

ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ। নিজস্ব চিত্র।

তিন দিন ধরে ছেলের মৃতদেহ আগলে রেখেছেন মা। শনিবার দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ছেলের দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি নবতিপর ওই বৃদ্ধাকেও পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার শহরে।
কোচবিহার শহরের ম্যাগাজিন রোড এক্সটেনশন এলাকায় থাকতেন ছায়ারানি আচার্য (৯০) এবং তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ আচার্য ৫০)। তবে প্রতিবেশীরা গত তিন দিন ধরে তাঁদের দু’জনকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। ছায়ারানির বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা খবর দেন বিশ্বজিতের আত্মীয়দের। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান বিশ্বজিতের জামাই প্রশান্ত সাহা। তিনি বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে খবর দেন পুলিশে। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বিশ্বজিতের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ছায়ারানি চলচ্ছক্তিহীন। তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

বিশ্বজিতের জামাই প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমি আজ ফোন পেয়ে আসছি। এখানে এসে দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দিই। শ্বশুরমশাই মারা গিয়েছেন। উনি মদ্যপান করতেন। সে জন্য মৃত্যু হতে পারে। ওঁর কিছু শারীরিক সমস্যাও ছিল। তবে ঠাকুমা হাঁটাচলা করতে পারেন না।’’ বিশ্বজিতের প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পুরসভার এক জন অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করতেন। বিশ্বজিতের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, গত দিন দিন ধরে তিনি কাজে যাননি। ততাঁর সহকর্মীরা বাড়িতে যোগাযোগও করেন। তবে তাঁরা দরজা বন্ধ দেখে ফিরে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement