চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলে বোঝা যাবেপ্রকৃতপক্ষে শতবর্ষ পেরিয়ে আসা কতজন ভোটার এবার নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রতীকী চিত্র।
১০০ বছর বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, এমন ভোটারের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০। মালদহের রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে এই পরিসংখ্যান দেখে চক্ষু চড়কগাছ সরকারি আধিকারিকদের। এঁদের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকায় উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী কেউ ১০৫ বছর বয়সি। কারও বয়স আবার পেরিয়েছে ১১০ বছর!
বিষয়টি নজরে আসতে ওই ভোটারদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাঁদের প্রকৃত বয়স কত হতে পারে তা জানারও ব্যবস্থা হচ্ছে। একই সঙ্গে খসড়া তালিকায় উল্লিখিত কতজন শতবর্ষ অতিক্রান্ত ভোটার এখনও বেঁচে রয়েছেন, তাও জানাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলে বোঝা যাবে প্রকৃতপক্ষে শতবর্ষ পেরিয়ে আসা কতজন ভোটার এ বার নির্বাচনে অংশ নেবেন। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, শতবর্ষ অতিক্রান্ত ভোটার সবথেকে বেশি রয়েছেন রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গাজোল বিধানসভা। এর পর যথাক্রমে রয়েছে মানিকচক ও হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্র। ইংরেজবাজারের অতি প্রবীণ ভোটারের সংখ্যাও ১৫ জন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর খাসতালুকে সভা মিমের
জেলা নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য মনে করছেন, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে শতবর্ষ অতিক্রান্ত ভোটারের সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে যাবে। তবে মনে করা হচ্ছে, তার পরেও এই ধরণের অতি প্রবীণ ভোটারের সংখ্যা জেলায় খুব কম হবে না।
জেলা নির্বাচন দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রবীণ ভোটারদের প্রায় কারওরই জন্মতারিখ সংক্রান্ত কোনও নথি নেই। অনেক বছর আগে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় তাঁদের প্রায় সকলেই আন্দাজে একটি বয়স বলে দিয়েছিলেন। ভোটার তালিকায় সেই বয়সই রেকর্ড হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী কালে ধারাবাহিক ভাবে বয়স বেড়ে তা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হয়ত তাঁদের অনেকেরই বয়স ১০০-র নীচে। প্রকৃত বয়স জানার জন্য ওই ভোটারদের বা তাঁদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মমতার বাংলো নিয়ে তটস্থ প্রশাসন
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, ওই ভোটার ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলে জেলা নির্বাচন পরিচালন দফতরে সেগুলি পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর বোঝা যাবে শতবর্ষ অতিক্রান্ত প্রকৃত ভোটার মালদহে কতজন রয়েছেন। এর পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হবে।