কোচবিহারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ১০০ জন। —নিজস্ব চিত্র।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল শিবির। রবিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে ১০০-র বেশি বিজেপি নেতাকর্মী তুলে নিলেন ঘাসফুল পতাকা।
কোচবিহার বিজেপির ১৪ নম্বর মণ্ডলের ৭ নম্বর শক্তি প্রমুখ সুধীর বর্মণের সঙ্গে শতাধিক বিজেপি নেতাকর্মী কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। অভিজিৎ বলেন, ‘‘ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল ছিল। সুধীর বর্মণ, দিলীপ বর্মণ, প্রদীপ বর্মণ প্রমুখ গত লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই সমস্ত এলাকায় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। গত নির্বাচনগুলিতে এই এলাকায় তৃণমূল ভাল ফল করতে পারেনি। তাই সুধীররা তৃণমূলে যোগদান করায় স্বাভাবিক ভাবেই ওই সমস্ত এলাকায় আমাদের সাংগঠন শক্তিশালী হবে।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দল যখন নিজেদের গড় মজবুত করে প্রচারে নামছেন, সেই সময়ে এই দলবদলের ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি নেতারা আনছেন ভিন্ন অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছেন। কিছু কিছু জায়গায় তৃণমূল আমাদের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে জোর করে তাদের দলে যোগদান করাচ্ছে।’’ বিজেপি নেতার সংযুক্তি, ‘‘ওরা ভয় দেখিয়ে যতই বিজেপি কর্মীদের দলে যোগদান করাক, মন থেকে ওঁরা বিজেপি কর্মীই থাকবেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েও ওঁরা তৃণমূলের কর্মী হবেন না।’’ যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন বলেই বিজেপি ছেড়়ে দলে দলে তৃণমূল যোগ দিচ্ছেন।