ফের প্রস্তুতি: ময়নাগুড়ির দোমোহানিতে খোলা হল সেফ হোম। নিজস্ব চিত্র
করোনা আক্রান্ত রোগীর আবারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে করোনা পজ়িটিভ দুই রোগীর মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ৩২ বছরের এক যুবকও রয়েছেন। একইসঙ্গে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় আরও দু’টি সেফ হোম নতুন করে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তারা।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই করোনার প্রকোপ ফের একবার ছড়িয়ে পড়েছে আলিপুরদুয়ারে। প্রতিদিনই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে বুধবার, একদিনে জেলার ২১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হন। জেলায় একদিনে সংক্রমণের হিসাবে যা সর্বোচ্চ বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের একাংশের মনে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড ছাড়াও কোভিড হাসপাতালে করোনা রোগীর ভিড় বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কর্তারা জেলায় আরও দু’টি সেফ হোম খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা জানান, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গৃহ নিভৃতবাসে বয়স্করাও অনেকে রয়েছেন। তাঁদেরও কখনও সেফ হোম প্রয়োজন হতে পারে। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘সে জন্যই ফালাকাটার সেফ হোম খোলা হচ্ছে। কুমারগ্রামের সেফ হোমটিও প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে তপসিখাতার কোভিড হাসপাতালে যে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়, তাঁদের মধ্যে ৩২ বছরের যুবক বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় কোভিড হাসপাতালে। পরীক্ষায় তাঁর সংক্রমণ ধরা পড়ে। শেষে কোভিড হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেখানে ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বুধবার তাঁকে তপসিখাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত দু’জনেরই বাড়ি আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকে।