ফাইল চিত্র
এবার থেকে ভোটার তালিকায় যেন কোনও ‘ভুল’ না থাকে। বুধবার এখানে বৈঠক ডেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের আধিকারিকদের এমনই নির্দেশ দিয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। আর এই কাজ যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ, তা মেনে নিয়েই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় আরও ২০ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, নতুন নাম তোলার আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া নথি বারবার পরীক্ষা করতে হবে। একই নাম যেন দুই এলাকার ভোটার তালিকায় না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি চূডা়ন্ত তালিকা প্রকাশ হবে। সূত্রের খবর, পাঁচ জেলা নিয়ে জলপাইগুড়িতে বৈঠকে উঠেছে পুরভোটের প্রসঙ্গ। বৈঠকের শেষে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মন্তব্য, “ক্রুটিহীন ভোটার তালিকা তৈরি করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেগুলিই বৈঠকে জানানো হয়েছে।”
জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরে বৈঠকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহারের জেলাশাসক, মহকুমাশাসকেরা এবং নির্বাচনী আধিকারিকদের ডাকা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি জেলার বিডিওদেরও থাকতে বলা হয়েছিল বৈঠকে।
ভোটার তালিকায় ব্যাপক ভুল থাকে বলে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও অভিযোগ করেছিলেন। ভোটার তালিকার কাজ ভাল করে করতে মুখ্যমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছিলেন আধিকারিকদের, অনেকক্ষেত্রে যাঁরা ভোটার তালিকার কাজ করেন তাঁরা অনেক নিয়ম জানেন না বলে উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি জেলার পর্যালোচনা বৈঠকে এসে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনলাইনের সঙ্গে অফলাইনেও আবেদন চলছে। সে ক্ষেত্রে কোনওভাবেই যাতে একই নাম দু’বার তালিকায় না ওঠে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।