ফাইল চিত্র।
ডুয়ার্সে বিমল গুরুংয়ের জনসভায় যত বেশি সম্ভব মানুষকে সামিল করতে মরিয়া মোর্চার শীর্ষ নেতারা। সভার একদিন আগে, শনিবারও দিনভর সেই প্রস্তুতি চলল মোর্চা শিবিরে।
আজ, রবিবার বীরপাড়ায় জনসভা করবেন বিমল গুরুং। প্রায় সাড়ে তিন বছর পাহাড় ছাড়া থাকার পরে ডুয়ার্সে এটাই গুরুংয়ের প্রথম জনসভা। উত্তরবঙ্গে ফিরে গত রবিবার শিলিগুড়িতে প্রথম জনসভা করেন গুরুং। তাঁর ওই জনসভা ঘিরে ডুয়ার্স জুড়ে মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। সভায় যোগ দিতে ওই দিন শিলিগুড়িতে ডুয়ার্সের মোর্চা কর্মী-সমর্থকদের কার্যত ঢল নেমেছিল। আজকের সভায় ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও অনেক বেশি কর্মী-সমর্থক যোগ দেবেন বলে দাবি মোর্চার নেতাদের।
বীরপাড়ার প্রগতি সঙ্ঘ ময়দানে বিমল গুরুংয়ের জনসভার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন মোর্চা নেতারা। রবিবার এই সভাতেই গুরুং প্রধান বক্তা। শনিবারই মাঠের এক প্রান্তে মঞ্চ গড়ে চারপাশে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ফ্ল্যাগ দিয়ে মাঠের বাকি অংশ ঘিরে ফেলা হয়েছে। বীরপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পোস্টার ও ফ্ল্যাগে ছেয়ে গিয়েছে। মোর্চার মধ্য ডুয়ার্স শাখার নেতা সুমন তামাং বলেন, “ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত কুড়ি হাজার মানুষ সভায় যোগ দেবেন। আসবে প্রায় সাতশো গাড়ি।” কিন্তু বিপুল সংখ্যক গাড়ি জোগাড়ে তো প্রচুর খরচ? সুমন বলেন, ‘‘এই জনসভা ঘিরে আবেগে ভাসছেন ডুয়ার্সের মানুষ। প্রত্যেকে নিজেদের খরচেই গাড়ি জোগাড় করে আসছেন।”
মোর্চার নেতাদের কথায়, বিমল গুরুংকে নিয়ে ডুয়ার্সের মানুষের মধ্যে প্রত্যাশা রয়েছে। গুরুংকে মাঝে পাহাড় ছাড়তে হওয়ায় ডুয়ার্সের মোর্চার নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছিল। কিন্তু গুরুং ফের প্রকাশ্যে আসতেই তাদের প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন পর গুরুং কি বার্তা দেন, অধীর আগ্রহে সেদিকেই তাকিয়ে মোর্চার নেতা-কর্মীরা।
শনিবার ডুয়ার্সের মোর্চার সভাপতি অশোক গুরুং বিজেপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও মাদারিহাটের বিজেপির বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা মনোজ টিজ্ঞা দাবি করেন, ‘‘ডুয়ার্সের নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষ আগেও বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে। আগামীতেও তাঁদের সমর্থন থাকবে। গুরুংবাবুরা যতই টিএমসিকে সমর্থন দিয়ে জেতানোর চেষ্টা করুন না কেনো, ডুয়ার্সের মানুষ সরকার পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দেবে।’’
মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় লামা সভা নিয়ে কিছু না বললেও মোর্চার সমর্থন থাকায় একুশের বিধানসভায় জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েও দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আগামীদিনে ডুয়ার্সের মানুষ সম্মিলিতভাবে ভোট বাক্সে বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে।’’