পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েছে। তাই কাজে লাগছে না লালারস পরীক্ষার কিয়স্ক। নিজস্ব চিত্র
করোনা আক্রান্তদের পরিবারের, বয়স্ক, শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহের জন্য মোবাইল কিয়স্কের গাড়ি প্রস্তুত করা হলেও, নানা মহলে প্রশ্ন ওঠায় শনিবার পর্যন্ত সেটিকে কাজে নামানো যায়নি। গত শুক্রবার পুরসভা এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে লালারস সংগ্রহের একটি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষামূলক ভাবে দেখার জন্য শুক্রবার ওই বিশেষ গাড়ি নামানো হয়েছিল। পুরসভার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানরা গাড়িটিতে কাচের ঘেরা দেওয়া যে জায়গায় বসে লালারস সংগ্রহ করবেন সেখানে বাতাস চলাচলের অর্থাৎ ‘ভেন্টিলেশন’ ব্যবস্থা ঠিক নেই। লালারস সংগ্রহের পর চিকিৎসা বর্জ্য ফেলার জায়গাও গাড়িতে করা হয়নি। এ ধরনের সমস্যার জেরে গাড়ি নিয়ে ওই দিন কাজ করা যায়নি। দুই একটি নমুনা সংগ্রহের পরই গাড়িটি ফিরিয়ে আনা হয়। শনিবার তা ঠিক করা হয়নি। ফলে গাড়িটি দু’দিন ধরে পড়েই রয়েছে, চালু করা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের আশা রবিবার থেকে গাড়িটি চালু করা যাবে।
বাঘা যতীন পার্কে রবীন্দ্রমঞ্চের পিছনে গাড়িটি রাখা রয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গাড়িটি দেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা থাকলে তা আমাদের জানানোর কথা। কিন্তু এখনও পুরসভা কিছু জানায়নি।’’ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘গাড়িটিতে ‘টেকনিক্যাল’ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হবে। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিয়ে সেটি দ্রুত চালু করা হবে।’’
গাড়ি চালু না হওয়ায় করোনা আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে গিয়ে লালারস দিতে হওয়ায় তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতেই হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের। গাড়ির অভাবে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও স্বাস্থ্য দফতর সময় মতো করে উঠতে পারছেন না। তা ছাড়া পরিবারের সদস্য করোনা সংক্রমিত হওয়ার পরে তাঁদের লালারস দেওয়ার জন্য এ ভাবে বাইরে বার হতে হলে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। কারণ তাঁদের কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।